লামা সদর ইউনিয়নে ভূমি জবর দখল বেড়েই চলছে

fec-image

লামা উপজেলার লামা সদর ইউনিয়নে একটি সংঘবদ্ধ চক্র কর্তৃক ভূমি জবর দখল ও জোর পূর্বক উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনা বেড়েই চলেছে। ভূমি জবর দখলকারী সিন্ডিকেট আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয় এমন কার্যক্রমে লিপ্ত হয়ে সাধারণ মানুষের বাগান কর্তন ও ভূমি জবর দখল করে চলেছে বলে অভিযোগে এসেছে।

এ জাতীয় ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়েছে।

লামা সদর ইউনিয়নের চিউনি নকশারঝিরি মুখের মৃত বশির উদ্দিন এর ছেলে সোহরাব হোসেন (৪৫) জানান, সে ক্রয় সূত্রে ২৯৫নং লামা মৌজার হোল্ডিং নং- ১৮৩/(ক) এর ৫.০০ একর এবং একই মৌজার হোল্ডিং নং- ৮৪ এর ৫.০০ একর জায়গা ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ ভোগদখলে আছে।

লামা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আকতার কামাল, চাহ্লাখইন কারবারী, কৃষক রসিক আলী ও সোহেল রানা জানান, শ্রমিক সোহরাব হোসেন দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গা বাগান ও বসতবাড়ী তৈরি করে ভোগ দখলে আছে। মেরাখোলা মুসলিম পাড়ার মৃত মোঃ সোলেমান এর ছেলে মোঃ ওসমান গত ২৯ শে আগষ্ট ভাসমান হোল্ডিং আর/৯১ এর মালিক চাঁন মিয়ার নিকট থেকে ৫.০০ একর জমি ক্রয় করার বায়না নামা দলিল নং- ৬৯৯/২০১৯ সৃজন করে। সদ্য সৃজিত এই বায়না নামা দিয়ে সোহরাব হোসেন এর জমিতে জোর পূর্বক ঘর তৈরি করতে গেলে হামলা ও পাল্টা হামলার সৃষ্টি হয়।

লামা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই ঘটনায় লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফাতেমা বেগম (৪২) নামক একজন বাদী হয়ে ফৌজদারী অভিযোগ দায়ের করলে আদালত লামা থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

লামা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন জানান, ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে তর্কিত ভূমি পরিমাপের সিদ্ধান্ত হয়। ইউনিয়ন পরিষদকে না জানিয়ে মোঃ ওসমান নতুন করে ভূমি জবর দখল করতে গেলে হামলা ও পাল্টা হামলার সৃষ্টি হয়।

লামা থানার অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা জানান, আইন শৃঙ্খলা বিঘ্ন হয় এমন কোন কর্মকাণ্ড কোনক্রমেই সহ্য করা হবে না। ভূমি সমস্যা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও আদালতের মাধ্যমে সমাধান করার জন্য তিনি সকলকে আহ্বান জানান।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ভূমি জবর দখল
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন