শেখ হাসিনার উন্নয়ন ইতিহাসে ঠাঁই হবে: আইন মন্ত্রী

fec-image

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন- জিয়া, এরশাদ, খালেদা শাসনামলের সবকিছু যোগ করলেও শেখ হাসিনার উন্নয়নের সমান হবে না। তাই শেখ হাসিনার উন্নয়ন ইতিহাস হয়ে থাকবে।

রোববার (২৪জুন) বিকেলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সাথে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে রাঙামাটিতে নবনির্মিত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা আমি মুখে বলতে চাই না। পরিসংখ্যানের দিকে আপনারা দেখতে পাবেন। বিএনপি, জামাত এবং তত্বাবধায়ক সরকার ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সাড়ে ৭ বছরে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য ব্যয় করেছেন মাত্র ১৬৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ছিলো মাত্র ২৫৩ কোটি টাকা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইন ও বিচার বিভাগের জন্য প্রতি বছরে গড়ে ১৬৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছে এবং উন্নয়ন বরাদ্ধ দিয়েছে ৪৩ কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করার পর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করাসহ বাস্তবমুখী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে বিচার বিভাগের সংকট নিরসন হয়েছে, বিচারক সংকট কমে এসেছে। দেশের ৬ জেলার মধ্যে ৪২টি জেলায় সিজিএম আদালত ভবন নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আজ রাঙামাটিসহ দেশের ৩৪টি জেলার সিজেএম আদালতের নতুন ভবনের উদ্বোধন করা হলো। আমরা আশা করছি আগামী বছরের মধ্যে দেশের অন্যান্য জেলার আদালত ভবনের কাজ (খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলাসহ) শেষ হবে।

আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, ৬৪ জেলা সদরে সিজেএম আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক (যুগ্ম সচিব) বিকাশ কুমার সাহা, রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম, রাঙামাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফারুক, গণপূর্ত বিভাগ রাঙামাটি সার্কেলের ত্বত্তাবধায়ক প্রকৌশলী একিউএম শাহজালাল মজুমদার, রাঙামাটি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট মোখতার আহম্মেদ এবং সাধারণ সম্পাদক রাজীব চাকমাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা।

রাঙামাটিতে নবনির্মিত সিজেএম আদালত ভবনে ১৩টি এজলাস আছে। এছাড়াও কনফারেন্স কক্ষ, লিগ্যাল এইড অফিস, বিচারকের চেম্বার, খাস খামরা, মালখানাসহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। আদালত ভবন নির্মাণে ২০ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। ভবনটি নির্মাণ বাস্তবায়নে ছিলেন গণপূর্ত বিভাগ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন