বছরের দু’টি সময়ে হবে মূল্যায়ন

ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীতে থাকছে না কোন পরীক্ষা

fec-image

নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীতে আর কোন পরীক্ষা থাকছে না। তবে পরীক্ষার পরিবর্তে বছরের নির্দিষ্ট দুই সময়ে হবে মূল্যায়ন। একই সাথে মূল্যায়নের ফলাফলও প্রকাশ করতে হবে নির্দিষ্ট সময়েই। এখন থেকে প্রশ্ন ব্যাংক কিংবা অন্য কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশ্ন কেনার সুযোগও বন্ধ করা হয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই এসব নির্দেশনা প্রত্যেক স্কুলকে শতভাগ পালন করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নতুন শিক্ষাবর্ষের জন্য দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত আর অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে না। আগামী বছর (২০২৪ সাল) থেকে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণীতে দু’টি সামষ্টিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হবে। বছরের মাঝামাঝি হবে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন এবং বছর শেষে নেয়া হবে বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষা। আর দশম শ্রেণীতে অনুষ্ঠিত হবে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা ও নির্বাচনী পরীক্ষা।

সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে শিক্ষাপঞ্জি (একাডেমিক ক্যালেন্ডার) প্রকাশ করা হয়েছে। সেখান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারি করা প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার।

প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০২৪ সালে মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোর নতুন শিক্ষাক্রমের ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ও প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হবে মে মাসে। ২৩ মে থেকে মূল্যায়ন শুরু হয়ে চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। ১০ জুলাই ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ও প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে।

মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রমের বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন শুরু হবে ২১ নভেম্বর থেকে। ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন চলবে। মূল্যায়নের ফল প্রকাশ হবে ৩০ ডিসেম্বর।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ সূচি অনুযায়ী ষাণ্মাসিক ও বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়নের আয়োজন করতে হবে। মূল্যায়নের কাগজপত্র অন্তত এক বছর সংরক্ষণ করতে হবে স্কুলে। মূল্যায়নের তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না। বিশেষ পরিস্থিতিতে পরিবর্তন করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) অনুমতি নিতে হবে। মূল্যায়নের প্রশ্ন শিক্ষকদের নিজেদের প্রণয়ন করতে হবে। কোনো উৎস থেকে সংগৃহীত প্রশ্নে মূল্যায়ন করা যাবে না।

অন্য দিকে ২০২৪ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়েও প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান করা হবে। এ তিন শ্রেণীতেও কোনো পরীক্ষা থাকবে না। শুধু চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীতে অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৫ সাল থেকে সেটাও বাতিল হবে। ওই বছর থেকে চতুর্থ-পঞ্চমে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। ফলে অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পরীক্ষা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন