সন্তু লারমার অসহযোগ নিয়ে উৎকণ্ঠা পার্বত্যাঞ্চলে
ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি:
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার অসহযোগ আন্দোলন নিয়ে উদ্বিগ্ন পার্বত্যাঞ্চলের মানুষ। আজ বুধবার শেষ হচ্ছে শান্তি চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবীতে সরকারকে বেঁধে দেওয়া সময়সূচীও। কিন্তু ওই বিষয়টি নিয়ে এখনো পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোন কার্যকর উদ্যোগ জানা যায়নি।
সম্প্রতি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও সেমিনার থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট সময়সূচী ঘোষণা চেয়ে পহেলা মে থেকে অসহযোগ আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারী দেয় সংগঠনটির সভাপতি সন্তু লারমা।
অ্ন্যদিকে, সন্তু লারমার সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ও সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার বলেছিলেন, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট সময়সূচী ঘোষণা না করলে পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। সরকার পার্বত্য চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না করলে পার্বত্যাঞ্চলের পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে ধাবিত হতে পারে। পাহাড়ের যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ী থাকবে। গত ১০এপ্রিল রাঙামাটিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বৈসাবী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে আগামীকাল বৃহষ্পতিবার জনসংহতি সমিতির অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম পদক্ষেপ কি হবে তা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পাহাড়ের মানুষ। এব্যাপরে জনসংহতি সমিতির কোন নেতাকর্মীও মুখ খুলছেনা। তবে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তীব্র প্রতিবাদ জানান আঞ্চলিক বাঙালী ভিত্তিক সংগঠনের নেতারা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনে সভাপতি জাহাঙ্গীর কামাল জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের ইস্যু নিয়ে যদি পার্বত্যাঞ্চলে পরিস্থিতি ভিন্নখাতে ধাবিত হয়, তাহলে বাঙালীরা বসে থাকবে না। পাহাড়ে মানুষ যে কোন পরিস্থিতির মোকাবেলা করবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তৎকালীন শান্তিবাহীনির প্রধান ও বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমা ১৯৯৭ সালে ২ডিসেম্বর শান্তিু চুক্তি স্বাক্ষর করলেও দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে তেমন কোন ভূমিকাই রাখতে পারেনি । প্রায় প্রতিদিন ঘটছে উপজাতিয সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মোহড়া। চলছে খুন, অপহরণ ও চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। যা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় দৃশ্যমান। এখন আবার অসহযোগ আন্দোলনের নামে সন্তু লারমা পার্বত্য চট্টগ্রামকে আবারও অশান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন- অথচ সরকার নীরব।