সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে অনুমতি লাগবে না: হাইকোর্ট

fec-image

সরকারি কর্মচারীরা ফৌজদারি অপরাধ করলেও তাদের গ্রেফতার করতে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার বিধান বাতিল করেছে হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি মো.মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মণ্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

২০১৮ সালের নভেম্বরে সরকারি চাকরি আইন প্রণয়ন করা হয়। ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে একই বছরের ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর হয়। এ অবস্থায় সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা সংক্রান্ত আইনের ৪১ (১) ধারাটি সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের পরিপন্থী উল্লেখ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর হাইকোর্টে আইনজীবী সরোয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও মাহবুবুল ইসলাম রিটটি করেন।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে সরকারি চাকরি আইনের ৪১ (১) ধারাটি কেন সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এ রুলের ওপর বুধবার (২৪ আগস্ট) শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হলো।

রায়ের পরে মনজিল মোরসেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ৪১ (১) ধারাটি সংবিধান পরিপন্থি বলে বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারের আগে অনুমতি লাগবে না।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে হাইকোর্ট বলেছিলেন, সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারের আগে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেওয়ার বিধান কি বৈষম্যমূলক নয়? সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে কী হয়? অভিযোগ পেলে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এর উত্তরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, এটি বৈষম্যমূলক নয়। কেননা, সরকারি কর্মচারীরা নিজেরাই একটি শ্রেণি। এই শ্রেণির মধ্যে কোনো বৈষম্য হচ্ছে না।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন