সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের হামলার শিকার ২ যুবদল কর্মী: রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ

Rangamati Jubodol Pic-22.10

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:
আগামী ২৫ অক্টোবরের আগে রাস্তায় ঘোরাফেরা না করার জন্য নিষেধ করার পরও রাস্তার পাশের দোকানে চা-নাস্তা খাওয়ার অপরাধে বেধম মারধরের শিকার হয়েছেন রাঙামাটির বেতবুনিয়া ইউনিয়নের দুই যুবদল কর্মী। গুরুত্বর আহত যুবদল নেতা নুর মোহাম্মদ ও মোহরম আলী বর্তমানে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

১৪ ও ১৫ নাম্বার বেডে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা আহতদ্বয় জানায়, তারা কয়েকজন মিলে সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় পাহাড়িকা সিনেমা হলের সামনে একটি চায়ের দোকানে নাস্তা খাচ্ছিলেন। এমন সময় সরকারদলীয় কর্মী মাসুদ, শাহ আলম, আব্দুল খালেক জুনু, এমরান হোসেন বাচেক, ইমরান হোসেন মনা, সবুজ মার্মার নেতৃত্বে সরকারদলীয় একদল সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে হামলায় চালিয়ে বেধম মারধর করতে থাকে। এসময় তাদের হাত থেকে বাচঁতে সবাই দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করতে থাকে।

এসময় অন্যরা পালিয়ে বাচঁলেও হোচঁট খেয়ে পড়ে যাওয়ায় সরকারদলীয়দের লোহার রড ও লাঠির আঘাতে গুরুত্বর আহত হয়েছেন যুবদল নেতা নুর মোহাম্মদ ও মোহরম আলী। পরে তারা দৌড়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে প্রাণে রক্ষা পায়। এসময় সরকাদলীয়রা বসতবাড়ির ভেতরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে বেতবুনিয়া পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জসহ বেশ ক’জন পুলিশ সদস্য ও বাড়ির মহিলারা লাঠিসোটা নিয়ে বের হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এই ঘটনায় আহত নুর মোহাম্মদের স্বজন শরীফ বাদি হয়ে মামলা করবেন জানা গেছে।

এদিকে যুবদলের নেতাদের উপর আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা নৃশংস হামলার প্রতিবাদে রাঙামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রাঙামাটি জেলা যুবদলসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা।

বিক্ষোভ মিছিলটি জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম, নগর বিএনপির সভাপতি ও রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, বিএনপি নেতা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কর্ণেল মনিষ দেওয়ান, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাকিল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু সাদত মোঃ সায়েম, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার, যুবদল নেতা ইউছুপ চৌধুরীসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বিগত ২০১০ সালের নভেম্বরের ১৯ তারিখে উপজেলা যুবদল নেতা আরিফকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে রেখে পালিয়ে যায় সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা। পরে তাদের কয়েকজন জামিনে বেরিয়ে এসে এই মামলার বাদি ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের গুরুত্বর আহত করে বলে অভিযোগ করেন শরীফুল ইসলাম।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি, রাঙামাটি, সরকার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন