সাপ জোঁকের বসতিতে পরিণত পেকুয়া শহীদ জিয়া বিএমআই অডিটরিয়াম

pic-pekua-1
পেকুয়া প্রতিনিধি :
সাপ জোঁকের বসতিতে পরিণত হয়েছে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পেকুয়ার একমাত্র অডিটরিয়াম। এটির স্থাপন করেন তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলের সাবেক যোগাযোগা প্রতিমন্ত্রী বর্তমান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

প্রতিষ্ঠার পর এর নামকরণ করা হয় পেকুয়া শহীদ জিয়া বিএমআই অডিটরিয়াম। বর্তমানে কলেজ কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকা মূল্যের এ অডিটরিয়াম ভবন ও অত্যাধুনিক মূল্যবান আসবাবপত্র সামগ্রী। অব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু তদারকির অভাবে তা এখন সাপ জোঁকের বসতিতে পরিণত হয়েছে।

বর্তমানে ওই ভবনটির ভিতরে প্রবেশ করলে গা ছম ছম করে। তথ্য নিয়ে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৮ জুন তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত অডিটরিয়ামটি আনুষ্টানিক উদ্বোধন করেন ততকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে অডিটরিয়ামটির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকলেও পরবর্তী সময়ে তা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়।

প্রতিষ্টা লগ্ন থেকে পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে থাকা অডিটরিয়ামটি হাতবদল হয়ে বর্তমানে বিএমআই’র তদারকিতে এলেও তারা এর বেহাল দশার দায় নিতে অনিচ্ছুক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অডিটরিয়ামের ফ্লোরে জমে আছে তিন ফুট উচ্চতার নোংরা পানি, অধিকাংশ ফ্যান ও চেয়ার ভাঙ্গা। হদিস নেই লাইট ও সাউন্ড সিস্টেমের। দরজা নেই বললে চলে। প্রায় সবকটি জানালার কাচ ভাঙ্গা। অন্ধকারে নিমজ্জিত পুরো ভবন। খসে পড়ায় পলেস্তারা বিহীন ছাদ ও দেয়ালের ফাটল চোখে পড়ার মত। কিন্তু বছর পাচেঁক আগেই এই অডিটরিয়ামটি মুখর ছিল বিভিন্ন সাংস্কৃতক সংগঠনের কর্মকান্ডে। ছিল বিভিন্ন এনজিও সংস্থার সভা, সেমিনার। বাংলাদেশ টেলিভিশনের বহু অনুষ্টানও ধারণ করা হয়েছে এই অডিটরিয়াম থেকে। সম্প্রতি এই অডিটরিয়ামটির একটি অংশ আনছার ব্যাটেলিয়নকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া শহীদ জিয়া বিএমআই’র অধ্যক্ষ এ এম ফরিদুল আলম চৌধুরী বলেন, অডিটরিয়ামটি আমাদের তদারকিতে আসার আগে থেকে এ অবস্থা। তবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমরা কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেও কোন ফল পাইনি।
এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফুর রশিদ খাঁন জানান, অডিটরিয়ামটি বর্তমানে একেবারে ব্যবহার অনুপযোগী। মূলত নিচের মাটি যথাযথভাবে পাইলিং না করে তৈরী করায় এটি ধেবে গেছে। অডিটরিয়ামটি সংস্কার ব্যয়বহুল যাতে বড় মাপের বরাদ্দ দরকার। তাই এর স্ংস্কার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে করা সম্ভব নয়।

এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু অডিটরিয়ামের বেহাল দশার কথা স্বীকার করে বলেন, অডিটরিয়ামটি উপজেলা পরিষদের আওতাধীন নয়। কিন্তু দ্রুত এটি সংস্কার করা প্রয়োজন। নয়তো অবশিষ্ট সামগ্রীও নষ্ট হয়ে যাবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন