সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আদালতের নির্দেশ

fec-image

কক্সবাজারের পেকুয়ার চাঞ্চল্যকর আবু ছৈয়দ হত্যাকাণ্ডে মগনামার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম সম্পৃক্ততার অভিযোগ তদন্ত করতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ১৯ নভেম্বর মামলার বাদী ছৈয়দ মো. ইমনের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জাহেদ হোসাইন এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. এমরান বলেন, আবু ছৈয়দ হত্যাকাণ্ডের সকল ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ পূর্বক মগনামার সাবেক চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম জড়িত থাকার ব্যাপারে আমরা শতভাগ নিশ্চিত। তাই মামলায় তাকে আসামি করার ব্যাপারে বিজ্ঞ আদালত বরাবর বাদী একটি আবেদন করেছেন। আদালত তা আমলে নিয়ে ওয়াসিম চেয়ারম্যান জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আবেদনে মামলার বাদী উল্লেখ করেন, গত ১০ অক্টোবর মগনামার সাবেক চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিমের নির্দেশে ঘরে ঢুকে মামলার ২৪ আসামিসহ একদল অস্ত্রধারী আবু ছৈয়দকে কুপিয়ে ও বুকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। এসময় তাঁর ডান পা কেটে নিয়ে যায় আসামিরা।

আবেদনকারী আরো উল্লেখ করেন, হত্যাকাণ্ডের আগে চেয়ারম্যান ওয়াসিম মুঠোফোন ও বিভিন্ন মাধ্যমে আবু ছৈয়দকে হত্যার হুমকি দেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। এতে স্পষ্ট এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান হোতা হলেন ওয়াসিম।

এদিকে গত ২২ নভেম্বর চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানা পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয় এ মামলার ৯ নং আসামী মো. আনিস। এরপরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনিসের স্বীকারোক্তিমূলক একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে আনিস বলেন, “মগনামার সাবেক চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিমের নির্দেশে তাঁরা আবু ছৈয়দকে হত্যা করেন। আর ওয়াসিমকে উপহার দেওয়ার জন্য আবু ছৈয়দের ডান পা কেটে নিয়ে যাওয়া হয়।”

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) পেকুয়া থানার এসআই মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, আবু ছৈয়দ হত্যাকাণ্ডে মগনামার সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াসিমকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে আদালতে বাদী একটি আবেদন করেছেন। বিজ্ঞ আদালত তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমার বরাবর প্রেরণ করেছেন। ইতোমধ্যে এ হত্যা মামলার তদন্ত অনেকদূর এগিয়েছে। এ মুহুর্তে আদালতের এ আদেশটি মাথায় রেখে তদন্ত করা হবে।

উল্লেখ্য যে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১০ অক্টোবর পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের আফজালিয়া পাড়ার মৃত বদিউর রহমানের ছেলে আবু ছৈয়দকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে একদল অস্ত্রধারী। পরে ২৪ জনকে আসামী করে পেকুয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত আবু ছৈয়দের ছেলে ছৈয়দ আহমদ ইমন। মামলার সকল আসামী এলাকায় সাবেক চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এ পর্যন্ত হত্যা মামলার ১২ জন আসামী গ্রেফতার হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইউপি চেয়ারম্যান, পেকুয়া
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন