সীমান্তবর্তী ফেণীনদীতে দু’দেশের হাজারো ভক্তের সিক্ত চোখে দেবী দুর্গার বির্সজন
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী ফেনীনদীতে দু’দেশের হাজারো ভক্তের অশ্রু সিক্ত চোখে বির্সজন দিয়েছেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দূর্গাকে। শুক্রবার(১৫ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে ফেনীনদীর রামগড় আনন্দপাড়া ঘাটে এ বির্সজন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। শান্তিপূর্নভাবে এ বির্সজন সম্পন্ন করতে বিপুল সংখ্যক বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয় পৌর শহরে।
রামগড় দক্ষিণেশ্বরী কেন্দ্রিয় কালীবাড়িতেই উপজেলার একমাত্র সার্বজনিন দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার বেলা ৩টায় কালীবাড়ি থেকে বিজয়া দশমীর বর্নাঢ্য র্যালি বের হয়। দেবী দূর্গাসহ অন্যান্য প্রতিমা নিয়ে শত শত সনাতন ধর্মাবলম্বি ত্রিপুরা উপজাতীয় ও বাঙ্গালি হিন্দু নারী, পুরুষ, আবালবৃদ্ধবণিতা অংশগ্রহণে র্যালীটি ফেনীনদীর আনন্দপাড়া আবাসিক এলাকা ঘাটে শেষ হয়। ফেনীনদীর হাঁটুপানিতে দেবী দূর্গাসহ অন্যান্য প্রতিমা কাধে নিয়ে কয়েকবার প্রদক্ষিণ করে ভক্তরা। বেলা ৫টার দিকে মুর্হুমুহু উলু ধ্বনি, আতশবাজি, ঢাকডোল, শঙ্খ বাজিয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে দেবী দুর্গাসহ একে একে প্রত্যেক প্রতিমাকে বির্সজন দেয়া হয় নদীতে।
এসময় সীমান্তের ওপারে ভারতে সাব্রুমের অসংখ্য নারী পুরুষ নদীর তীরে সমবেত হন দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাতে । তাঁরাও ওপার খেকে উলু ধ্বনি ও শঙ্খ বাজিয়ে দেবী দুর্গার বির্সজনে অংশ নেন । প্রতি বছরের মত এবারও বেশ জাঁকজমকভাবে দুর্গোৎসব উদ্যাপিত হয় রামগড়ে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংশুইপ্রু চৌধুরি অপু, রামগড় বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আনোয়ারুল মাযহার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সবেক চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরি, পরিষদের সাবেক সদস্য অরুণ চন্দ্র সিংহ, মংপ্রু চৌধুরি, রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী পিপিএম-সেবা, রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারী, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহি অফিসার উম্মে হাবিবা মজুমদার, নব নির্বাচিত পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলম কামালসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিরা দুর্গোৎসবে অংশ নেন।