সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত তরুণকে চমেক হাসপাতালে স্থানান্তর

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে ‌মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে আহত উইনু থোয়াইং তঞ্চঙ্গ্যাকে (২২) চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় তাকে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়।

এরপর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। এখন সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।

আহত উইনু থোয়াইং নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু হেডম্যান পাড়ার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অংক্য থোয়াইন তঞ্চঙ্গ্যার ছেলে। বিস্ফোরণে তার বাঁ পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

শনিবার (সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাঁচলাইশ থানার ওসি (তদন্ত) সাদেকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত একজনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

আহত উইনু থোয়াইং তঞ্চঙ্গ্যার মা ইয়াং মে চাকমা জানান, শুক্রবার দুপুরে গরু আনতে অংঞাথোয়াই তঞ্চঙ্গ্যাসহ কয়েকজন যুবক সীমান্তে কাঁটাতারের কাছে যান। তখন হঠাৎ মাইন বিস্ফোরণ হয়। এতে গুরুতর আহত হন তার ছেলে। পরে তাকে দ্রুত কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রাতে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার মাইন পুঁতে রেখেছে। সেই মাইন বিস্ফোরণে আমার ছেলে আহত হয়েছে। তার বাম পায়ের নিচের অংশ উড়ে গেছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হয়েছে।’

উল্লেখ্য যে, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল এসে পড়ে সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড কোনারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেটি বিস্ফোরণে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত মো. ইকবাল (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হ‌য়ে‌ছেন। এ সময় আহত হয়েছে আরও পাঁচ জন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন