সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার হলে পার্বত্য এলাকায় জন নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে: সমঅধিকার আন্দোলন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
ঢাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্যবাসী বাঙালিদেরকে আমন্ত্রণ নিয়ে গড়িমশি করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি। সেই সাথে সংগঠনটি ৯ দফা দাবি জানিয়ে বলেছে, দেশের এক ও অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ পার্বত্য চট্টগ্রামে জুমল্যান্ড ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রবিরোধী সশস্ত্র সন্ত্রাস অব্যাহত আছে। দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় সকল সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার হলে তিন পার্বত্য জেলার জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে জানমাল হারাবেন বলে দাবি করে সংগঠনটি । বে-আইনী অস্ত্র উদ্ধার ও চাঁদাবাজ রাষ্ট্রদ্রোহী জেএসএস ও ইউপিডিএফ ব্যানারে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের আটক না করা পর্যন্ত সকল সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার না করার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর আবেদন জানায় সংগঠনটি।
মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, মহাসচিব মনিরুজ্জামান মনির, কেন্দ্রীয় নেতা মো. জাহাঙ্গীর কামাল, আব্দুল কুদ্দুস চেয়ারম্যান, হাজী মো. ইউনুস কমিশনার ও সেলিম আহমদ চৌধুরী উপরোক্ত আবেদন জানান।
এছাড়া সমঅধিকার নারী আন্দোলন, সমঅধিকার ছাত্র আন্দোলন ও সমঅধিকার যুব আন্দোলনের পক্ষ থেকেও পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বাতিল করার জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, কতিপয় সাম্প্রদায়িক কর্মকর্তা তথা পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের বহুল বিতর্কিত সচিব নববিক্রম ত্রিপুরা এবং উপ-সচিব বিদুষি চাকমার প্ররোচনায় বাঙালী স্বার্থবিরোধী হীন বৈষম্যমূলক চক্রান্ত চালানো হচ্ছে বলেও সমঅধিকার নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ না করা হলে তিন পার্বত্য জেলার অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে হরতাল, অবরোধসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারী দেয় সংগঠনটি।