সেন্টমার্টিন: সমস্যা ও সম্ভাবনা!

fec-image

সেন্টমার্টিন’ অথবা ‘নারিকেল জিঞ্জিরা’, নামটি কারও অজানা নয়। স্থানীয়দের কাছে দ্বীপটি নারিকেল জিঞ্জিরা বলেই খ্যাত। প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বলে স্থানীয়ভাবে একে নারিকেল জিঞ্জিরা বলা হয়ে থাকে। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের লোকজনের কাছে সেন্টমার্টিন নামেই খুব বেশি পরিচিত।

বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত দ্বীপটি। এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হতে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে ও মিয়ানমার-এর উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। প্রশাসনিকভাবে দ্বীপটি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে ওয়ার্ড আছে ৯টি। গবেষণা অনুযায়ী এই দ্বীপের আয়তন ৮ বর্গকিলোমিটার। গবেষকদের মতে, প্রায় ৪৫০ বছর আগে গড়ে উঠা সেন্টমার্টিন দ্বীপের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১০ হাজারের মতো।

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে নিঃসন্দেহে ভ্রমণপিপাসুরা ভ্রমণের ক্ষেত্রে পছন্দের তালিকায় এগিয়ে রাখে। তবে এটি একদিকে পর্যটকদের আনন্দ-বিনোদনের খোরাক জোগালেও, অন্যদিকে এই দ্বীপ অনেকের কাছে নিছক বাসস্থান।

দীর্ঘ অনেক বছর ধরে, পর্যটকদের প্রকৃতির নান্দনিক রুপ দিয়ে নানাভাবে আনন্দ মিটিয়ে আসা প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত। পরিবেশবাদীদের মতে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে ২০৪৫ সালের মধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপটি পুরোপুরি প্রবালশূন্য হয়ে যাবে।

এটি তো শুধু দ্বীপ নিয়ে শঙ্কা। পরিবেশবাদী বা গবেষকরা উদ্বিগ্ন শুধুমাত্র দ্বীপ রক্ষার্থে, স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখতে। অন্যদিকে পর্যটন ব্যবসায়ী বা দেশের পর্যটন খাতের সংশ্লিষ্টরা ভাবছেন কিভাবে এই দ্বীপ ব্যবহার করে প্রচুর অর্থ আয় করা যায়।

কিন্তু স্থলভাগের অনতিদূরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত একাংশ ছোট্ট একটি দ্বীপে বসবাস করা সাধারণ মানুষগুলো নিয়ে ক’জনে চিন্তা করে? তাদের জীবনযাপন নিয়ে ক’জনের মাথাব্যথা?

সম্প্রতি সেন্টমার্টিনে দু’দিনের ভ্রমণে গিয়েছিল কক্সবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের হয়ে একদল গণমাধ্যমকর্মী। সেখানে ভ্রমণ করতে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা শুনেছে স্থানীয়দের দুঃখ-দূর্দশার কথা, দেখেছে তাদের জীবনযাত্রার চিত্র।

আমরা জানি, প্রাথমিকভাবে মানুষের মৌলিক চাহিদা হলো- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। তবে সম্প্রতি নিরাপত্তাকেও মৌলিক চাহিদা হিসেবে ধরা হয়। এসব মৌলিক সুবিধাসমূহ এপারের মানুষগুলো পেলেও, দ্বীপবাসীরা কতটুকু চাহিদা ভোগ করতে পারছে তা হলো প্রশ্ন।

দ্বীপ ঘুরে দেখা যায়, স্কুল-কলেজ, চিকিৎসালয়, আশ্রয়কেন্দ্র, পুলিশী সেবা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক ব্যবস্থা রয়েছে দ্বীপবাসীর জন্য। কিন্তু তা কতটুকু কার্যকর হয়। দেখা গেছে, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সেবা কেন্দ্রের ভবনগুলো নীরব নিস্তব্ধ। দেখলে মনে হয়, কেউ আসা-যাওয়া করে না। অবশ্য স্কুল-কলেজ আপাতত বন্ধ রেখেছে সরকার।

দ্বীপবাসীর গুরুতর অভিযোগ, তারা যথাযথ চিকিৎসা সেবা পায়না। তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ঘটে যাওয়া এক গর্ভবতী মায়ের মৃত্যুর ঘটনা। পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছিল,”ডাক্তারবিহীন সেন্টমার্টিনে সমুদ্রপথে গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু।”

দেখা গেছে, তাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে ঘাটতি চোখে পড়ার মতো। পর্যটকেরা শিফ থেকে নেমে সেন্টমার্টিনের মাটিতে পা ফেলার আগেই স্থানীয় ৫-১৫ বছর বয়সী একদল শিশু প্রস্তুত হয়ে থাকে। কিছু টাকার বিনিময়ে তারা পর্যটকের ব্যাগ ও নানান জিনিসপত্র রিসোর্ট পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। সৈকতে বসলে অসহায় শিশুদের দেখা যায়। তারা পর্যটকদের কাছ থেকে টাকা নিতে বায়না ধরে। অনেক শিশু পর্যটকের শরীর, মাথা ম্যাসেজ করে দেয় টাকার বিনিময়ে। কথা বলে জানা গেছে, তাদের বেশিরভাগই পড়ালেখার ধারেকাছে নেই। এসব চিত্র দেখে বুঝা গেছে, সেখানকার খুব কম ছেলেমেয়ে পড়ালেখায় আছেন।

এদিকে, টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের দূরত্ব ৯ কিলোমিটার হওয়ায় সাগরপথে আসা-যাওয়া করতে হয় নৌকা, বোট বা শিফ দিয়ে। এর ফলে সেখানকার মানুষ সময়ের সুবিধা সময়ে পায় না। এই লং-ডিসটেন্সের কারণে অনেকসময় সরকারি-বেসরকারি সহায়তা থেকেও বঞ্চিত হয় দ্বীপবাসী।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের সুবিধাবঞ্চিত মানুষ অত্যন্ত সহজ-সরল। আর্থিকভাবে দ্বীপবাসীকে অসচ্ছল বললে ভুল হবে না। বলা যায়, সেখানকার বেশিরভাগ মানুষ গরীব। তাদের বাড়িঘর দেখলেই বিষয়টি বোঝা যায়। সেখানকার প্রায় মানুষ জেলে হওয়ায় সাগর তাদের আয়ের প্রধান উৎসস্থল। এছাড়াও বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত করে খাদ্যের জোগান দিয়ে থাকেন তারা। কিন্তু অনেকেই মনে করে সেন্টমার্টিনের স্থায়ী বাসিন্দারা সারাবছর প্রচুর টাকা আয় করে। সেই ধারণা নিতান্তই ভুল।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতিবছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে শুরু করে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত এই দ্বীপে বেড়াতে আসে পর্যটকেরা। এই সময়ে যারা টুকিটাকি ব্যবসা করে তারা কিছু টাকা ঘরে তুলে। কিন্তু ভ্রমণ মৌসুম শেষ হলে বাকি মাস খুব কষ্টে কাটাতে হয়।

স্থানীয় ডাব ব্যবসায়ী জাকের আহমেদ বলেছেন, স্থানীয় মানুষ একধরণের নির্যাতিত বলতে গেলে। সেন্টমার্টিনের পর্যটন খাত বহিরাগত ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের টাকাওয়ালা লোকজন ভাল জমিগুলো কিনে বড়বড় হোটেল তৈরি করছে। তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে স্থানীয়েদর বেশি টাকা দিয়ে জমিগুলো কিনে নিচ্ছে। তিনি বলেন, স্থানীয়রা বেশি সুবিধা পেতে, দ্বীপের নানান সংকট থেকে নিজেকে বাঁচাতে এবং শিশুসন্তানদের অদূর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে জায়গাজমি বিক্রি করে টেকনাফের দিকে পাড়ি জমাচ্ছে। আর এই সুযোগ হাতছাড়া করছেন না বড়লোক ব্যবসায়ীরা।

আইসক্রিম ব্যবসায়ী রবিউল বলেছেন, আমার বাড়ি যশোর। কিন্তু সেন্টমার্টিনে ৫ বছরের ব্যবসায় আমার। প্রতি মৌসুমে মৌসুমে আসি। মৌসুম শেষে দেশের বাড়ি চলে যায়। তিনি বলেন, ভাড়া বাসা নিয়ে থেকে সেন্টমার্টিনে তার আইসক্রিম ব্যবসায় চালিয়ে যান। তিনি আরও বলেন, আমার দেখা অনুযায়ী এখানে বাইরের লোক বেশি ব্যবসা করে। ঢাকা, কুমিল্লা ও নোয়াখলীর মানুষ বেশি দেখা যায়। স্থানীয়রা কম। তারা শুধু ডাবের ব্যবসায় ভাল পারে।

দ্বীপ ঘুরে দেখা গেছে, যাতায়াতের গাড়ি ও বিচে বিভিন্ন সামুদ্রিক পণ্যের ব্যবসা থেকে শুরু করে ছোট বড় অনেক হোটেল-মোটেল এবং দ্বিতল রিসোর্টের মালিকেরা সব বহিরাগত। দেখা গেছে, ভাতঘর, ছোটখাটো রেঁস্তোরা, শুঁটকি মাছের দোকান, কুলিং কর্ণার, মুদির দোকান, চা-পানের দোকান ও বিভিন্ন টক-ঝাল-মিষ্টির নিম্নমানের দোকানগুলোই ওখানকার স্থানীয়দের। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, খুব বেশি পুঁজি খাটাতে হয় এমন ব্যবসা তারা করতে পারে না অর্থভাবে। এছাড়াও টেকনাফের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সেখানে বার্মিজ পণ্যের ব্যবসা করতে দেখা গেছে। স্থানীয় অনেকেই সাইকেল ভাড়া ও সৈকতে ছাতা সংযুক্ত আরামদায়ক চেয়ার ভাড়ার ব্যবসা করতে দেখা গেছে।

এদিকে, সেন্টমার্টিনে দিন দিন প্রবাল কমছে। কমছে দ্বীপের বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকাও। বিপরীতে বাড়ছে পর্যটক। স্থানীয়রাও এটাই চায়। কারণ পর্যটক না গেলে তাদের বেহাল দশা হয়। অন্যদিকে, পর্যটকদের আবাসনের জন্য নতুন হোটেল ও অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। দ্বীপে স্থায়ীভাবে বসবাস করা জনসংখ্যাও বাড়তি, যা চাপ ফেলছে দ্বীপের জীববৈচিত্র্যের ওপর। সব মিলিয়ে সেন্টমার্টিনের অনন্য প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট হচ্ছে।

সেন্টমার্টিনের মানুষ বলেছেন, দ্বীপের চারদিকে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কয়েক বছর ধরে ভাঙনের কারণে দ্বীপের আয়তনও কমেছে। এই দ্বীপকে রক্ষায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে দ্রুত বাঁধ নির্মাণ করা দরকার। তারা বলেন, এই দ্বীপের প্রবাল, শৈবাল রক্ষায় সরকারি কোনো উদ্যোগ নেই। তবে দুই বছর ধরে স্থানীয়ভাবে প্রবাল উত্তোলন ও পাচার বন্ধে তাঁরা কাজ করছেন। এ ছাড়া পর্যটকেরা যে পরিমাণ বর্জ্য ফেলে যান, তা অপসারণে সরকারি কোনো বরাদ্দ ও ব্যবস্থা নেই। এসব বর্জ্য সাগরে গিয়ে পড়ে।

গবেষণায় বলা হয়, ১৯৯৬-১৯৯৭ সময়ে সেন্টমার্টিনে পর্যটক যেতেন বছরে ২০০ জনের কম। এখন যান দেড় লাখের বেশি। একই সময়কালে (’৯৬–৯৭ সাল) সেখানে জনসংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭০০ জন, যা ২০১৬ সালে ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। ২০১২ সালে সেন্ট মার্টিনে ১৭টি হোটেল ছিল। ২০১৮ সালে তা ৪৮টিতে দাঁড়ায়। তবে স্থানীয় হিসাব অনুযায়ী, এখন সেন্টমার্টিনে হোটেল, মোটেল ও কটেজের সংখ্যা ১২৪টি। তবে পর্যটন মৌসুমে হোটেল, মোটেল ও কটেজ পরিচালনার জন্য বাড়তি প্রায় আড়াই হাজার লোক কয়েক মাস সেন্টমার্টিনে অবস্থান করে।

গবেষণায় সেন্টমার্টিনের পরিবেশদূষণ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির জন্য কয়েকটি মানবসৃষ্ট কারণ চিহ্নিত করা হয়। যার মধ্যে অন্যতম অনিয়ন্ত্রিত পর্যটক, আবাসিক হোটেলগুলোর দুর্বল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পর্যটকদের ব্যবহৃত সামগ্রী সমুদ্রের পানিতে নিক্ষেপ, পাথর উত্তোলন, প্রবাল উত্তোলন ও উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরার জালের যত্রতত্র ব্যবহার। গবেষকেরা আরও বলেছেন, সেন্টমার্টিনে নতুন জন্মানো প্রবালগুলো জেলেদের জালের টানে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জেলেরা দ্বীপের চারপাশে তীর থেকে প্রায় ৫০০ থেকে ১ হাজার মিটার উপকূলবর্তী এলাকায় জাল ফেলে মাছ ধরেন, যেখানে সবচেয়ে বেশি প্রবালের জন্ম হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) একাধিক গবেষণায় একই ধরণের চিত্র উঠে আসে। ওই সব গবেষণায় দ্বীপটিকে রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে সেখানে পর্যটকদের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু কাজ খুব একটা হয়নি।

তথ্যসূত্রে জানা গেছে, চুনাপাথরের এই দ্বীপে প্রায় ৬৬ প্রজাতির প্রবাল, ১শ ৮৭ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক, ১শ ৫৩ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল, ১শ ৫৭ প্রজাতির গুপ্তজীবী উদ্ভিদ, ২শ ৪০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৪ প্রজাতির উভচর ও ১শ ২০ প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে পেজালা নামে পরিচিত Sea weeds বা অ্যালগি (Algae) এক ধরনের সামুদ্রিক শৈবাল সেন্টমার্টিনে প্রচুর পাওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে ১৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী। অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে স্পঞ্জ, শিল কাঁকড়া, সন্ন্যাসী শিল কাঁকড়া, লবস্টার ইত্যাদি। মাছের মধ্যে রয়েছে পরী মাছ, প্রজাপতি মাছ, বোল করাল, রাঙ্গা কই, সুঁই মাছ, লাল মাছ, উড়ুক্কু মাছ ইত্যাদি। সামুদ্রিক কচ্ছপ সবুজ সাগর কাছিম এবং জলপাইরঙা সাগর কাছিম প্রজাতির ডিম পাড়ার স্থান হিসেবে জায়গাটি খ্যাত।

পরিবেশবাদীরা বলছেন, সেন্টমার্টিনের বর্তমান চিত্র অনুযায়ী অনেক প্রাণী ও বিভিন্ন সম্ভাবনাময়ী উদ্ভিদ বিলুপ্তীর পথে। তাই সেন্টমার্টিনকে জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করে এর সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া দরকার।

সচেতন মহল বলছেন, সেন্টমার্টিনের মানুষদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের বেশি নজর দিতে হবে।

অন্যদিকে দ্বীপের এক সচেতন বাসিন্দা জানিয়েছেন, প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী রাতের আধারে বার্মিজ পণ্য এনে ঠিকমতো রাজস্ব আদায় না করে সেন্টমার্টিনে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সেদিকেও নজর দিলে দেশের রাজস্ব খাত সমৃদ্ধ হবে।

সম্প্রতি সেন্টমার্টিন ঘুরে আসা গণমাধ্যমকর্মীরা বলছেন, সবমিলিয়ে বোঝা গেছে, তারা (দ্বীপবাসী) পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। সেখানে জনসংখ্যার সাথে সাথে বেকার বাড়ায় অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এমতবস্থায় তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

এছাড়াও কত সম্ভাবনাময়ী শিশু-কিশোর বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন দ্বীপে বসবাস বলে সম্ভাবনাময়ী স্বপ্নবাজ তারুণ্য হারাচ্ছে বাংলাদেশ!

 

লেখক, সেন্টমার্টিন থেকে ফিরে

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন