কাতার বিশ্বকাপ

সেমিফাইনালে আজ মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়া

fec-image

কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনার-ক্রোয়েশিয়া। বাংলাদেশ সময় বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত একটায় শেষ চারের এই মহারণটি শুরু হবে।

আর্জেন্টিনা এখন পর্যন্ত যে কয়বার সেমিফাইনাল খেলেছে, ততবারই ফাইনাল খেলার গর্ব সঙ্গী হয়েছে তাদের। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে তারা ফাইনাল খেলেছে। তবে জার্মানির কাছে হেরে মেসিরা শিরোপা বঞ্চিত হয়।

এবারও আর্জেন্টিনার শিরোপা অভিযানে কেন্দ্রীয় চরিত্র এই মেসি। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনের পুরোভাগে আলোচনায় থাকলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়কই। লেফটব্যাক তাগলিয়াফিকো যেমনটা বলেছেন, ‘আমাদের কাছে মেসিই অধিনায়ক, ও নেতা। তার জন্যই মূলত আমাদের এতদূর পর্যন্ত আসা, প্রেরণাও দিয়েছে সে।’

ব্রাজিল বিশ্বকাপ ব্যর্থতার মঞ্চ হলেও এই বিশ্বকাপটাকে নিজের প্রাপ্তির মঞ্চ হিসেবে চাইছেন মেসি। কোপা আমেরিকা জিতে জাতীয় দলের হয়ে ট্রফি খরা ঘোচাতে পেরেছেন। এবার পরম আরাধ্যের বিশ্বকাপ ট্রফি ছোঁয়ার সুবর্ণ সুযোগ। সেই মঞ্চে আজ রেকর্ড ছোঁয়ার হাতছানি তার সামনে। আজ মাঠে নামলেই জার্মান কিংবদন্তি লোথার ম্যাথিউসের ২৫টি বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলার রেকর্ডে ভাগ বসাবেন।

তবে চার মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ ক্রোয়েশিয়াও ছেড়ে কথা বলার নয়। ক্রোয়েশিয়া হেড কোচ জ্লাতকো দালিচ মনে করেন, টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে পৌঁছাতে পারলে সেটি হবে তার দেশের জন্য স্মরণীয় অর্জন। আজ তারা আর্জেন্টিনাকে বিদায় করতে পারলে জার্মানির পর দ্বিতীয় দল হিসেবে একই বিশ্বকাপে লাতিন দুই পরাশক্তিকে বিদায় করার গৌরব অর্জন করবে। সেই কারণেই ক্রোয়াট কোচ বলেছেন, ‘যদি আমরা এই ম্যাচ জিততে পারি, তাহলে সেটা হবে আমাদের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ম্যাচ।’

মহারণের আগে অবশ্য অস্বস্তি নিয়েই মাঠে নামতে হচ্ছে আর্জেন্টিনার। কার্ড নিষেধাজ্ঞায় মার্কাস আকুনা ও মন্তিয়েলের খেলা হচ্ছে না। লেফটব্যাক হিসেবে থাকবেন তাগলিয়াফিকো। আশার কথা, সুস্থ হয়ে ফিরছেন আনহেল দি মারিয়া ও রদ্রিগো দে পল। বিপরীতে ক্রোয়েশিয়ার কোনও ইনজুরি নেই। পুরো ফিট দলকেই দালিচ মাঠে নামাতে পারছেন।

বিশ্বকাপে তৃতীয়বারের মতো মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। তবে নকআউটে এই প্রথম। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে প্রথম দেখায় আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে জিতেছিল। সর্বশেষ ২০১৮ বিশ্বকাপে ক্রোয়াটরা তাদের হারিয়ে দেয় ৩-০ গোলে।

ষষ্ঠবারের মতো ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে নামছে মেসির দল। তাদের চেয়ে বেশি ফাইনাল খেলার নজির জার্মানির, ৮ বার। বিশ্বকাপে পেনাল্টি শুটআউটে চার ম্যাচের সবগুলোই জিতেছে ক্রোয়েশিয়া। এই বিশ্বকাপেই শেষ ষোলোয় জাপান ও কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলকে বিদায় দিয়ে তারা সেমিফাইনালে এসেছে। তাদের চেয়ে বেশি শুটআউট জয়ী দলটি হলো আর্জেন্টিনা, ৫ বার।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন