১৭ উপজাতি শিক্ষার্থী বৃত্তি নিয়ে অষ্ট্রেলিয়ায় গেল
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ থেকে এবার ১৭জন উপজাতি শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়া এওয়ার্ড স্কলারশীপ পেয়েছেন। তারা ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে গেছেন। তাদের জন্য অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সিডনী, জেমস্ কুক, এডেল্যাইড, নিউ ইংল্যান্ড ও অন্যান্য শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ।
এবারের এওয়ার্ডপ্রাপ্ত ১৭ জন উপজাতি শিক্ষার্থীদের মাঝে চাকমা-৯, মারমা-১, ত্রিপুরা-২, বম-১, মণিপুরী-২, সাঁওতাল-১ এবং হাজং-১ জন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সরকারী চাকুরিজীবী- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস, বাংলাদেশ ব্যাংক, কৃষি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এবং অন্যান্যরা বেরসকারী প্রতিষ্ঠান বা উপজাতি অধিকার বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত ছিলেন।
গত কয়েকবছর যাবত অস্ট্রেলিয়া সরকার অস্ট্রেলিয়া এওয়ার্ড স্কলারশীপ বাংলাদেশে চালু রেখেছে। একসময় শুধুমাত্র পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের জন্য অস্ট্রেলিয়া-এইড বৃত্তির ব্যবস্থা থাকলেও এখন এটা সমতলের উপজাতি শিক্ষার্থীদের জন্যও উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে সমতলের গারো, মণিপুরী, খাসি, সাঁওতাল, হাজং ও ওরাঁও জাতির কয়েকজন শিক্ষার্থী এ বৃত্তি লাভে সক্ষম হয়েছেন।
এ স্কলারশীপ-এ সবচেয়ে বেশি নেয়া হয় সরকারী কর্মকর্তাদের। এবার বাংলাদেশ থেকে মোট ৬৫ জন অস্ট্রেলিয়া এওয়ার্ড প্রাপ্তদের মধ্যে ৪০জনেরও বেশি হচ্ছেন সরকারী কর্মকর্তা। বাকিদের মধ্যে কিছু সংখ্যক রয়েছে ব্র্যাক ও আইসিডিডিআরবি-এর কর্মরর্তা এবং উপজাতি প্রার্থী।
বাংলাদেশের যেকোন উপজাতি জাতিগোষ্ঠীর ছেলেমেয়ে কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা অর্জন করে এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এজন্য তাকে মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পন্ন করে সরকারী বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে স্কলারশীপের জন্য কাঙ্ক্ষিত বিষয় সম্পর্কিত কর্মে কমপক্ষে দুই বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ভালো ইংরেজি জানতে হবে এবং আইইএলটিএস পরীক্ষায় ন্যূনতম ৬ স্কোর পেতে হবে আবেদনের জন্য। তবে প্রস্তাবিত বিষয় ও ইউনিভার্সিটির চাহিদা অনুসারে আইইএলটিএস স্কোর এর চেয়ে বেশিও লাগতে পারে। তাই সেভাবেই নিজের প্রস্তুতি নিতে হবে।
অস্ট্রেলিয়া এওয়ার্ড বৃত্তির বিজ্ঞাপন সাধারণত জানুয়ারি মাসের শেষ দিনগুলোতে ছাড়া হয়। আবেদনের মেয়াদ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইন খোলা থাকে। বিজ্ঞাপন ও বৃত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য ভিজিট করুন: australiaawardssouthasia.org/bangladesh
২০১৫ সালের অস্ট্রেলিয়া এওয়ার্ড বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন: রনি চাকমা, প্রগতি চাকমা, শ্যামাপ্রসাদ চাকমা, দিনা চাকমা, পাভেল চাকমা, ম্যানিলা চাকমা, মুক্তি চাকমা, সুবর্ণ চাকমা, চন্দন চাকমা, পাইচিমং মারমা, রাজীব ত্রিপুরা, বিনোতাময় ধামাই, আমই বম, সোহেল হাজং, কন্থৈজম সুরঞ্জিত, প্রদীপ কুমার সিংহ ও এলিজাবেথ মারান্ডি প্রমুখ।
সূত্র: আচিকনিউজ
খবরে প্রকাশ “——-বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস, বাংলাদেশ ব্যাংক, কৃষি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এবং অন্যান্যরা বেরসকারী প্রতিষ্ঠান বা উপজাতি অধিকার বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত ছিলেন।”
প্রশ্ন হলো, উপজাতি অধিকার বিষয়ক প্রতিষ্ঠান বলতে যা বোঝায় আসলে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা-রা, অষ্ট্রেলিয়া এবং জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সেগ্রলোকে বলে থাকে আদিবাসী অধিকার বিষয়ক প্রতিষ্ঠান এবং তারাও নিজেদের-কে আদিবাসী বলেই পরিচয় দিতে পছন্দ করে।
আবার খবরের শেষ অনুচ্ছেদে লেখা আছে, “২০১৫ সালের অস্ট্রেলিয়া এওয়ার্ড বৃত্তি প্রাপ্ত আদিবাসী শিক্ষার্থীরা হলেন: রনি চাকমা, প্রগতি চাকমা, শ্যামাপ্রসাদ চাকমা,——-”।
কৌশলে শিরোনামে উপজাতি বলে চালিয়য়ে দেওয়ার পায়তারা।
প্রতিবেদনটিতে স্ববিরোধীতা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। একবার উপজাতি আরেকবার আদিবাসী! রিপোর্টও ভাল মানের হয়নি।
This portal is administrated by settler. So it’s expected….