৩১মার্চ পঞ্চম ধাপে রাঙামাটির চার উপজেলার নির্বাচন: লড়াই হবে ত্রিমুখী

Rangamati- longgodu- rajosthali Upazila CHairman Candidate Pic

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি:
আগামী ৩১মার্চ পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে রাঙামাটির শেষ চার উপজেলার নির্বাচন। শনিবার রাত ১২টা থেকে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা। তাই উপজেলাগুলোতে এখন চলছে ভোট গ্রহনের প্রস্তুতি। রাঙামাটি সদরসহ চার উপজেলায় রাজনৈতিক দল বিএনপি, ক্ষমতাশীল দল আওয়ালীগ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস ) এর প্রার্থী থাকওে বিলাইছড়িতে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির ও ইউপিডিএফের কোন প্রার্থী নেই।

জেএসএস, বিএনপি, আওয়ালীগ সমর্থিত ও স্বতন্ত্র মিলে চারটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ১৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া  চার উপজেলায় ২০ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ১৭ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও রয়েছে, চারটি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১লক্ষ ৬০ হাজার ৯শ ৩৯ জন।  
এবারের নির্বাচনে লড়াই হবে ত্রিমুখী। পার্বত্য এলাকার অনেক উপজেলায় আঞ্চলিক রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে বলে জানা গেছে। গুটি কয়েক নামী-দামী নেতা ছাড়া মাঠে খেলামেলা কর্মীরা কাজ করছে না। এসব ভোটের চিত্র দেখে ভোটাররা কে কাকে সমর্থন করছে। ফলে ভোটাররা মুখ খুলছে না। রয়েছে অদৃশ্য আতঙ্কের ভাব।

এদিকে রাঙামাটি জেলা রিটানিং কর্মকর্তার বরাবরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বর স্বাক্ষরিত দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অত্র জেলার আঞ্চলিক কিছু সশস্ত্র সংগঠন অস্ত্রের মুখে সাধারণ ভোটারদের ভোটাধিকার হরণ করে।

একই ভাবে উপজেলা নির্বাচনেও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী ৩১ মার্চ রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও সদর উপজেলার ১৯টি কেন্দ্র দখল করে ভোটারদের ভয়ভীতির মাধ্যমে তাদের পক্ষে রায় নেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

ইতিমধ্যে আঞ্চলিক সংগঠনের পক্ষ থেকে উপজেলার প্রতিটি পাহাড়ী গ্রামে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করছেন। তাই প্রতিটি কেন্দ্র ও এলাকায় নির্বাচনের আগের দিন থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।

রাঙামাটি সদরে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন হলেন- মনোনীত আওয়ামী লীগের মো. জাকির হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএস মনোনীত অরুণ কান্তি চাকমা ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. মাহাবুবুল বাসেদ অপু। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন হলেন-বিএনপির মো. মাহাফুজ উদ্দিন, আ.লীগের সদানন্দ চাকমা, স্বতন্ত্র পলাশ কুসুম চাকমা, ও বিএনপির জাহিদুল ইসলাম। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন হলেন-মহতী চাকমা,রিতা চাকমা, কৃষ্ণা দেব, সালেহা আক্তার ও মোছাম্মৎ নূর জাহান বেগম।

লংগদু উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন করেন। এরা হলেন- হাজী ফয়জুল আজিম, ( বিএনপি বিদ্রোহী ) মো. তোফাজ্জল হোসেন, ( বিএনপি ) মো. আব্দুল বারেক সরকার, (আওয়ামীলীগ ) মো. সাইফুল ইসলাম (সতন্ত্র )।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন হলেন- আব্দুর রহিম, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মো. আব্দুর রহমান হাওলাদার , মো. জানে আলম, মো. নাসিমুল গণি, মো. নাসির উদ্দিন, মো. শাহেদুর রহমান সেলিম  (মেম্বার)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন হলেন- নূর জাহান বেগম, মোছাম্মৎ সুখতারা বেগম ও আনোয়ারা বেগম।

Belaichari Upazila CHairman Candidate Pic-

বিলাইছড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত জয়সেন তঞ্চঙ্গ্যা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএস মনোনীত শুভ মঙ্গল চাকমা, ও স্বতন্ত্র প্রার্থী উৎপল বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বদ্ধীতা করছে ৪জন। এরা হলেন- আ.লীগের তরুণ কান্তিতঞ্চঙ্গ্যা, বিএনপির শান্তি রায় চাকমা, জেএসএসের অমৃত সেন তঞ্চঙ্গ্যা ও স্বতন্ত্র কন্যা চন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যা।  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বদ্ধীতা করছে ৪জন। তারা হলেন- আ.লীগের নিরুপা তঞ্চঙ্গ্যা, বিএনপির নাউচা মারমা, জেএসএসের শ্যামা চাকমা ও স্বতন্ত্র সুদীপ্তা তঞ্চঙ্গ্যা।

রাজস্থলী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ৩জন। তারা হলেন-জেএসএস এর পুলুখই মারমা, আ.লীগের উথিনসিন মারমা ও বিএনপির থোয়াইসুইখই মারমা। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ৫জন। তারা হলেন- স্বতন্ত্র সুশান্ত প্রসাদ চাকমা, আ.লীগের অংনুচিং মারমা, আ.লীগের মিঠুল চন্দ্র দে, জেএসএসের নব কুমার তঞ্চঙ্গ্যা ও বিএনপির মুইথুইঅং মারমা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা  করছে ৫জন। তারা হলেন- সকিনা বেগম, আ.লীগের লংবতী এিপুরা, বিএনপির লাকী মারমা, জেএসএস এর ক্রইসাউ মারমা ও স্বতন্ত্র ক্রইসাচিং মারমা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন