৯৯ ব্রাইডল হাউসে ভাংচুর, লুটের মামলায় তিন আসামি কারাগারে

fec-image

কক্সবাজার শহরের কলাতলী ৯৯ ব্রাইডল হাউসের জোরপূর্বক দখল, ভাংচুর এবং লুটের মামলায় তিন আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

তারা হলেন, ঈদগাঁও উপজেলার পশ্চিম পোকখালীর মো. হোসেনের ছেলে এরশাদ হোসেন নুর (৩৫), শহরের টেকপাড়ার হাজী আনোয়ার হোসেনের ছেলে ফয়সাল (৩৫) ও মো. হোসেনের ছেলে সোয়েব নুর (২২)।

সোমবার (১ আগস্ট) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আসামিরা।

শুনানি শেষে আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক আবুল মনসুর ছিদ্দিকী।

সিআর মামলাটি, যার নং- ৫৭৮/২০২১ দায়ের করেছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত ভাড়াটিয়া নুরুল কবির পাশা।

একই মামলার ২ নং পলাতক আসামি ৯৯ ব্রাইডাল হাউসের মালিক আনোয়ার হোসেনকে(৫৯) ৫শ টাকা বন্ডে বয়স বিবেচনায় জামিন দেন আদালত।

তিনি শহরের পশ্চিম টেকপাড়ার আলহাজ্ব নূর আহমদের ছেলে।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, বিগত ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রথম দফা, একইদিন রাত ১১টায় দ্বিতীয় দফা এবং রাত আড়াইটায় তৃতীয় দফায় ৯৯ কটেজের বৈধ ভাড়াটিয়া নুরুল কবির পাশাকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করতে হামলা, লুটপাট এবং ব্যাপকভাবে ভাংচুর চালানো হয়।

খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক এসআই বিপ্লবের একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে গেলে সন্ত্রাসীরা আবারও হানা দেয়। একের পর এক ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে কটেজটি দখল করে। সেসময় কটেজে অবস্থানরত পর্যটককে মারধর ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। আশপাশের পর্যটকসহ ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

ঘটনার নেতৃত্বদানকারী হাজি আনোয়ার হোসেনসহ সন্ত্রাসীরা কটেজে ব্যাপক ভাংচুর এবং মূল্যবান আসবাবপত্র লুটপাট করে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এ মামলার স্বাক্ষী মিম আক্তারকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার কাছ থেকে তার শরীর পরিহিত থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসব সন্ত্রাসীরা কটেজের ম্যানেজার ও কর্মচারীকেও মারধর করে। তাদের কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এবং কটেজের ক্যাশ টেবিল ভেঙে নগদ টাকা হাতিয়ে নেয় তারা।

মামলার বাদি নুরুল কবির পাশা বলেন, হাজি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে আমার কটেজ দখল করে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। তারা কটেজ ভাড়া বাবদ ৪০ লাখ টাকা আত্মসাত করতে এসব ঘটনা সংঘটিত করছে। ঘটনার সকল সিসিটিভির ফুটেজ আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন