‘‌‌‌সর্বক্ষেত্রে পার্বত্য এলাকার সকল নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে’

fec-image

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের ন্যাস্ত শিক্ষকসহ সরকারি বিভিন্ন বিভাগে কর্মচারী নিয়োগে বাঙালি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর লোকজনকে পরিকল্পিতভাবে বাদ দেয়া হচ্ছে। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদেকে মারমা করণ করা হয়েছে। বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বাঙালিসহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ১২টি জনগোষ্ঠীর বসবাস। আর বাঙালি হচ্ছে সর্ববৃহৎ একটি সম্প্রদায়। কিন্তু শিক্ষা ও চাকুরিসহ সকল সরকারি-বেসরকারি সুযোগ সুবিধায় বাঙালি জনগোষ্ঠীর লোকজনকে সুপরিকল্পিতভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

বুধবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টায় বান্দরবানে একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের ন্যাস্ত শিক্ষকসহ সরকারি বিভিন্ন বিভাগে কর্মচারী নিয়োগে বাঙালি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা অনুসারে নিয়োগের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বান্দরবান জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন ও সহ-সভাপতি মো. রুহুল আমিনসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিএসএস, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিক্ষাসহ সব পরীক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালি ছেলে-মেয়েরা মেধার স্বাক্ষর রাখছে। অথচ বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের ন্যাস্ত শিক্ষকসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরিক্ষায় বাঙালি প্রার্থীদের সুপরিকল্পিতভাবে অকৃতকার্য দেখানো হয়। এখানে বান্দরবান জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ চাকুরি বাণিজ্য ও মারমা করণের মাধ্যমে বাঙালিদের ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করছে। জেলা পরিষদ যদি এই নীতি থেকে সরে না আসে তাহলে তিন পার্বত্য জেলার অপামর জনসাধারণকে সাথে নিয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ঘেরাও করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন