কাপ্তাইয়ে একটি মারমা হোটেলে শিশু নির্যাতন : উদ্ধার করলেন ইউএনও

fec-image

রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়ন কেয়াংঘাট এলাকায় একটি মারমা হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে শিশু নির্যাতন চলছিল। হোটেল কর্তৃপক্ষ দরিদ্র পরিবার থেকে অভিভাবকদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসব শিশুদের হোটেলে নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়ে ভারি কাজ করাতেন, করতে না চাইলে মারধর করতেন বলে অভিযোগ ওঠে।

বুধবার (১৮) জুন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিনের হস্তক্ষেপে নির্যাতিত শিশুরা মুক্তি পেল এবং অভিভাবকদের কাছে ফিরে গেল। কেয়াংঘাটের ওই মারমা হোটেলটির মালিক কিশোর ত্রিপুরা, তাঁর স্ত্রী হ্লাসুইনুং মারমা (মিতা) ও নাইউমা চৌধুরী।

উদ্ধার শিশুরা হলেন, রাঙ্গামাটি কাউখালী উপজেলা যৌথ খামার এলাকার সুইজাইউ মারমার ছেলে অংথোয়াইপ্রু মারমা (১০), অংজাই মারমার ছেলে সুইথুইমং মারমা (৬), কালা মার্মার ছেলে পাইসাচিং মারমা (১২) এবং কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের মুরালীপাড়ার স্লাইচিং মারমার ছেলে হ্লাখ্যাইচিং মারমা (১১)।

নির্যাতিত একজন শিশুর পিতা জানান, পাঁচ বছর আগে দোকান মালিক কিশোর ত্রিপুরা ছেলেকে কাজের ফাঁকে নিয়মিত স্কুলে পাঠানো এবং প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে আসেন। তিনি স্কুলে না পাঠিয়ে আমার শিশু সন্তানকে দিয়ে ভাড়ি কাজ করিয়েছেন। কাজ করতে না চাইলে লাঠি ও রড দিয়ে মেরে যখম করেছেন। বাড়ি যেতে দেয়া হয়নি। চুরির অপবাদ দিয়ে পুলিশকে ধরিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়েছেন।

ইউএনওর অভিযানের সময় মারমা হোটেল মালিক কিশোর ত্রিপুরা এবং তার স্ত্রী হ্লাসুইনুং মারমা মিতাকে দোকানে পাওয়া যায়নি। মালিকের মামাতো বোন ববি মারমা হোটেলটিতে শিশু নির্যাতনের কথা স্বীকার করেন।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো রুহুল আমিন জানান, মারমা হোটেলে শিশু নির্যাতনের বিষয়ে শিশুদের সাথে কথা বলে সত্যতা নিশ্চিত হয়েছি। নির্যাতিত শিশুদের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কাপ্তাই
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন