পানছড়ির কোমলমতি শিশুরাও পান করে কুয়োর পানি
পানছড়ি উপজেলার রোহিন্দ্র কার্বারী পাড়া, মরাটিলা, জিরানীহলা, পাইয়ংপাড়া, উল্টাছড়ি, কালানাল, ফাতেমানগর, চিকন চান পাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকার আবাল-বৃদ্ধ বনিতারা অভ্যস্ত কুয়োর পানি পানে। কুয়োর পানি যে ফুটিয়ে পান করতে হয় সেটাও তারা জানেনা। বিশেষ করে ১নং লোগাং ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের চিকন চান কার্বারী পাড়ার কোমলমতি শিশুরা কুয়োর পানি পান করে নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় সময়ে।
এলাকায় কয়েকজন জানালেন শীতকালে কুয়োর পানি অল্প থাকলেও কোন রকম পান করা যায়। কিন্তু বর্ষার সময়ে কুয়োতে বাহিরের পানি ডুকে ঘোলা হয় সেটা পানের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
এলাকার কানাই ত্রিপুরা, লক্ষীপ্রিয়া ত্রিপুরা, আনন্দ মোহন ত্রিপুরা জানায়, শীতকালে পানি কম, বর্ষাকালে কষ্ট। আমরা যে পানির সমস্যায় আছি সে খবর তো কেউ রাখেনা। শিশু শ্রেণীতে পড়ুয়া লিমা ত্রিপুরা ও মনবিকাশ ত্রিপুরা জানায়, সারা বছর কুয়োর পানি পান করে। এলাকার সাংস্কৃতিক কর্মী সাগর চাকমা জানায়, অনেক পরিবার আছে যারা কুয়োর পানি পান করে। তারা ময়লা পানিটা ফুটিয়ে পর্যন্ত পান করেনা। প্রশাসনকে নজর দিতে দাবি জানায় সে।
এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সাধন কুমার চাকমা জানায়, প্রায় শতাধিক পরিবার আছে যারা কুয়োর পানি পান করে। বিদ্যালয় পড়ুয়ারাও কুয়োর পানি পানে অভ্যস্ত। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এসব এলাকার খবর নেয়া দরকার বলে তিনি মনে করেন।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, এলাকার জনপ্রতিনিধিরা এসব তথ্য দিয়ে সহযোগিতা দেয়ার কথা থাকলেও এ ধরণের তথ্য দিচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেসব এলাকার নামের তালিকা হাতে আসেনি তারা এখনো সুপেয় পানি পান করতে পারছেনা। তবে এ ব্যাপারে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।