মর্টারশেলের বিকট শব্দে কেঁপে উঠল ঘুমধুম ও টেকনাফ সীমান্ত
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত ও কক্সবাজারে টেকনাফ সীমান্ত। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপেছে দেশের এই দুই সীমান্ত।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা দেড়টার দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ৩৪ নম্বর পিলারের মিয়ানমারের সেনা ঘাঁটির থেকে মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। পরপর তিনটি বিকট শব্দে কেঁপে উঠে তুমব্রু সীমান্ত। এসময় ১০টির বেশি গুলির শব্দ ভেসে আসে বাংলাদেশের তুমব্রুর পাড়ে।
এদিন সকালের দিকে উখিয়ার আঞ্জুমান পাড়া ও হোয়াইক্যং সীমান্তের মানুষ দুটি মর্টারশেলের বিকশ শব্দ শুনতে পান।
গেল ক’দিনের মতো মঙ্গলবারও মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠির পাল্টপাল্টি হামলার প্রভাব ছিল নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের সীমান্তে।এতে আতঙ্ককে আসেন স্থানীয়রা।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ বললেন, মঙ্গলবারও মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা গেছে। মিয়ানমারের কাছবকাছি হওয়ায় তার এলাকার মানুষের জীবনযাপনে আঘাত আসছে।
সীমান্তের জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু তারা এবার অনুপ্রবেশ ঠেকিয়ে দেবেন।
সোমবার ঘুমধুমের আটটি স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও মঙ্গলবার এসে স্বভাবিক রাখা হয় স্কুলের কার্যক্রম। শিক্ষার্থীরা ক্লাস করেছে প্রতিদিনের মতো।