তামাক ফসলি জমির উর্বরতা নষ্ট করে
মাটিরাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে কোন জায়গা রাখা যাবেনা। প্রতি কেজি সার উৎপাদনে ৮০ টাকা খরচ হয়। সরকার ভর্তুকি দিয়ে ২৫ টাকায় কৃষকের হাতে সার তুলে দিচ্ছেন। চাষাবাদ করে দেশে চাহিদা পূরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখার জন্য সরকার এ ভর্তুকি দিচ্ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভোজ্যতেলসহ বিশ্বে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য দিন দিন সাধারণ ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবীদরা বলছেন, সয়াবিন তেল আমাদের মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর । পর নির্ভরশিলতা কমিয়ে সয়াবিন তেল পরিহার করতে হবে। আশপাশের পরিত্যক্ত জায়গায় সরিষা আবাদ করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে উদ্ধৃত সরিষা বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্ভি হতে হবে।
তামাক আমাদের স্বাস্থ্য ও চাষাবাদের জমির জন্য খুবই ক্ষতিকর। তামাক চাষে জমির উর্বরতা নষ্ট হয় । তামাক চাষ পরিহার করতে হবে । মাটিরাঙ্গার জমি সব্জি চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তামাকের পারিবর্তে সব্জি চাষ করলে লোকাল চাহিদা মিটিয়ে জেলার বাহিরে বিক্রি করা যাবে। কৃষি অফিসারগণ আপনাদের যে কোন প্রয়োজনে সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে সকালে উপজেলা কৃষি অফিস মিলনায়তনে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রবি মৌসমে সরিষা, ভুট্টা ও সূর্যমুখী উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণকালে তিনি এসব বলেন।
এসময় মোট ৬শ জন কৃষকের মধ্যে ৪শ জনকে জনপ্রতি ১কেজি সরিষা বীজ, ১০কেজি এসওপি ১০কেজি ডিএসপি সার, ১৫০ জন কৃষকের মাঝে ২কেজি ভূট্টা বীজ, ১০কেজি এসওপি, ২০ কেজি ডিএসপি সার এবং ৫০জন কৃষকের মাঝে ১কেজি করে সূর্যমুখী বীজ, ১০কেজি এসওপি ও ১০কেজি ডিএসপি সার বিতরণ করা হয়েছে।
এতে মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গুইমারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অংকর বিশ্বাস, মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুমিত বণিক, কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আমির হোসেন, আমজাদ হোসেন, জয়নাল আবদিন, কৃষক ও সাংবাদিকগণ।