বাইশারীতে রাবার ড্রাম প্রকল্পের বেড়িবাঁধ ভেঙে অর্ধ শতাধিক বসতবাড়ি হুমকির মুখে
বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে ফারিখালের উপর নির্মাণাধীন রাবার ড্রাম প্রকল্পের বেড়িবাঁধ ভেংগে রাস্তা ঘাট সহ অর্ধ শতাধিক বসতবাড়ি এখন হুমকির মুখে। যে কোন মুহুর্তে বাড়ি ঘর পানির স্রোতে ভেসে ও ভেংগে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও হুমকির মুখে রয়েছে শত শত লোকজন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের পুর্ব বাইশারী এলাকায় রাজঘাট নামক স্থানে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন কোটি টাকা ব্যয়ে রাবার ড্রাম প্রকল্পের কাজ করেছেন। কাজের সিডিউল অনুযায়ী রাবার ড্রাম সংলগ্ন খালের উভয় পার্শ্বে বেড়িবাধ নির্মাণ করে দেওয়ার কথা থাকলে ও পাথরের ব্লক না দিয়ে দায়সারাভাবে স্কেবেটার দিয়ে খালের বালি দিয়ে তা নির্মাণ করে দিয়ে কাজ সম্পন্ন করে তারা চলে যায়।
গত সপ্তাহের ভয়াবহ বন্যায় ও পাহাড়ি ঢলে বেড়িবাঁধ ভেংগে পায়ে চলার পথ সহ নদী গর্ভে চলে যায় । এতে এখন অর্ধ শতাধিক বসতবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। আবারও বন্যা হলে বসত বাড়ি বিলীন হয়ে যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দা ওসমান গনি জানান, তিনি বৃটিশ আমল থেকে ঐ জায়গায় বসবাস করে আসছেন। কিন্ত এ ধরনের ভয়াবহ পানি আর দেখেননি। রাবার ড্রাম প্রকল্পের বেড়িবাঁধ এলাকায় এই ভয়াবহ পানির স্রোতে আমাদের সর্বনাশ করে দিল। আমরা এলাকাবাসী দ্রুত ভাবে বেড়িবাঁধ নির্মানের দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহের জানান রাবার ড্রাম প্রকল্পের দায়সারা কাজে আমার ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মো. শফি, ডা. হাসেম সরওয়ার, মাওলানা রিদওয়ান, হাজী নুরুন্নবী, ওসমান গনি মনু , পুতুইয়া সহ অনেকের বসতবাড়ি এখন হুমকির মুখে। তাছাড়া রাস্তা৷ ঘাট ভেংগে যাওয়ায় চলাচল করতে জনসাধারণের ভীষন কষ্ট হচ্ছে। তিনি দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলমকোম্পানি বলেন, তিনি বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় ভেঙে যাওয় রাস্তাঘাট দ্রুত মেরামতের জন্য উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) রাবার ড্রাম প্রকল্পের কনসালট্যান্ট রৌদ্র বাবুর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নিবেন। তাছাড়া পরিদর্শন করে আলাদাভাবে প্রকল্পের মাধ্যমে বরাদ্দ দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।