বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরে পাচ্ছে সংসদ: মন্ত্রীসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন
বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদকে দিলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে না বলেই মনে করেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক।
এদিকে সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি খায়রুল হক মনে করেন, বিচারকদের অভিসংসনের ক্ষমতা সংসদকে দিলে বিচারবিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হবে না্। সোমবার দুপুরে আইন কমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন তিনি।
খায়রুল হক বলেন, “গণতন্ত্রের সূতিকাগার ইংল্যান্ডে এই ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত গণতন্ত্রের সব দেশেই এটা আছে। ভারতেও এটা আছে।”
বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের অবস্থা উন্নত দেশগুলোর মতো না হওয়ার পরও বিচারক অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদকে দেয়া ঠিক হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সংসদকে এই ক্ষমতা দেয়ার সময় ওই সব দেশের অবস্থাও আমাদের মতোই ছিল।”
১৯৭২ সালের সংবিধানে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকলেও পরে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান এক সামরিক ফরমানে ওই অনুচ্ছেদ বাতিল করেন। পরে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা দেয়া হয় ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের’ কাছে। এই ক্ষমতা সংসদকে ফিরিয়ে দিলে জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে মন্তব্য করে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের দেশে বাহাত্তরের সংবিধানেও এটা ছিল। কিন্তু কাউকে অভিশংসন করা হয়নি।”