মানিকছড়িতে ইভটিজিং শিকার স্কুল ছাত্রী: পায়নি আইনি সহায়তা
মানিকছি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী এক বখাটে কর্তৃক ইভটিজিং এর শিকার হয় বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টায়। ঘটনার পর সহপাঠী ও স্থানীয়রা ওই বখাটে যুবককে গণধোলাই দিয়ে যথা সময়ে পুলিশে সোর্পদ করার ১০ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও আইনি সহায়তা পায়নি মেয়েটি।
ইভটিজিং এর শিকার স্কুল ছাত্রীর অভিভাবক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মানিকছড়ি উপজেলার মরাডলু গ্রামের মো. খোরশেদ আলম ও কমলা বেগমের মেয়ে মানিকছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। প্রতি দিনের ন্যায় ২০ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টায় বাড়ি থেকে বান্ধবীদের সাথে পায়ে হেঁটে স্কুলে আসার পথে পুরাতন উপজেলা এলাকায় মোটর সাইকেল চালক বখাটে মো. রিপন মিয়া (২৮, পিতা মো. রফিক মিয়া প্রকাশ রফিক গুনাইয়া, সাং- ডেপুয়া, ছাত্রীর গতিরোধ করে তাকে ইভটিজিং করে। সহপাঠীরা প্রতিবাদ করলে ওই বখাটে একাধিক ছাত্রীদের গায়ে হাত দেয়। এতে ছাত্রীরা চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশী লোকজন এগিয়ে এসে বখাটে যুবককে গণধোলাই দেয়।
বিষয়টি থানা পুলিশ অবগত হয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে যায়। এর পর ইভটিজিং এর শিকার ওই ছাত্রী ও তার অভিভাবক সহপাঠিসহ থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ইতোমধ্যে জনৈক ইউপি সদস্য বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সূরাহা করার লক্ষ্যে কালক্ষেপণ শুরু করেন। কিন্তু তাতে ওই ছাত্রী ও তার অভিভাবকরা রাজি হওয়ায় রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অভিযোগটি আমলে নেয়নি পুলিশ! ফলে নিরুপায় হয়ে ওই ছাত্রী, সহপাঠি ও অভিভাবকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনে যায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিনিতা রানী পুলিশকে অভিযোগ আমলে নেয়ার নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত থানার ইনচার্জ এস.আই গৌতম চন্দ্র দে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ডিউটি অফিসার যথা সময়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি উদ্ধার করে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় আটক রাখেন। দুপরে ইভটিজিং এর শিকার ওই ছাত্রী, অভিভাবক ও কয়েকজন সহপাঠি থানায় এসে ৪ জন বাদী হয়ে একটি অভিযোগ জমা দেন। যা বিধি সম্মত হয়নি। বিধি অনুযায়ী আবেদন নিয়ে এলে মামলা নেয়া হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।