অসুখী জীবন পুরুষদের হার্টের সমস্যা বাড়ায়

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

“সংসার সুখী হয় রমণীর গুণে”। প্রাচীন কালের এই প্রবাদটি প্রায় সবারই জানা। তবে শুধু স্ত্রী নয়, একজন স্বামীরও সমান দায়িত্ব সংসারটা সুখের বানানোর। স্ত্রীকে সুখে রাখুন, সংসার আপনিই সুখের হবে। সহজ হবে প্রাত্যহিকতা, আপনিও থাকবেন সুখে।

বিয়েটা কিন্তু শুধু দুটো নতুন মানুষের দৈনন্দিন এক সাথে ওঠা বসা নয়। বরং দুটো পরিবারের কাছে চলে আসা, সন্তানের জন্ম ও তার লালন পালন। আর সন্তানের বেড়ে ওঠা, মানসিকতা, আচার ব্যবহার সব কিছুতেই গভীর ছাপ ফেলে তাদের বাবা মায়ের সম্পর্ক। আর এই সম্পর্কের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিতে শুরুতেই টেনে আনা হয় নানান ধর্মের নানান রীতি।

তবে, বিয়েও তো আর পাঁচটা সম্পর্কের মতোই, যেমন পরিবার পরিজন, বন্ধুত্ব বা সন্তান। তাই এতে টানাপড়েন আসাটাই স্বাভাবিক। আর তাই, এই সম্পর্কে তৈরি হওয়া যে কোনও সমস্যার সমাধান পরিণত মানসিকতায় সুষ্ঠুভাবে করাটা একান্ত জরুরি। কিন্তু বাস্তবটা আলাদা নানা কারণে বেড়ে ওঠা সম্পর্কের এই দোটানার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ে মানসিক চাপ আর দুশ্চিন্তা। নতুন একটি গবেষণা বলছে যে বিয়ে সুখের না হলে বেড়ে যায় হার্টের সমস্যা।

অসুখী বৈবাহিক জীবন এবং হার্টের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। আর এ রোগে মৃত্যুও শোনা যায় আজকাল। আমাদের শরীরে মস্তিষ্কের পরেই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি হল হৃৎপিণ্ড বা হার্ট। নানা কারণে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন, বার্ধক্য, দুর্বল হৃদযন্ত্র, বংশগত হৃদযন্ত্রের ত্রুটি, রক্তনালীপথে রক্ত চলাচলে বাঁধা, অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, স্থূলতা ইত্যাদি।

এছাড়া, বিশেষত পুরুষদের ক্ষেত্রে, মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তাও হার্টের সমস্যার জন্য দায়ী। কারণ, পুরুষদের ক্ষেত্রে, মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তায় কর্টিসোল নামের একটি হরমোন বেশি মাত্রায় নিঃসৃত হয়। ফলে বেড়ে যায় কোলেস্টেরলের মাত্রা। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা বলছে যে যেসব পুরুষের বয়স ষাটের উপরে এবং বৈবাহিক জীবনে অসুখী তাদের মধ্যে হার্টের সমস্যা বেশি দেখা যায়।

কাজেই, পুরুষদের জন্য পরামর্শ, যার হাতে নিজের হৃদয়টা দিয়েছেন, তাকে সুখি রাখুন। সঙ্গে সুস্থ থাকবে আপনার হৃদয়টিও।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *