খাগড়াছড়িতে বৈসাবি র‌্যালিতেও রাজনীতি

বৈসাবি

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

প্রতি বছররের ন্যায় এ বছরও খাগড়াছড়িতে পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে সাড়ম্বরের সাথে পালিত হলো সার্বজনীন বৈসাবি র‌্যালী। সোমবার সকালে শুরু হয়ে র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। সমাজের পাহাড়ী-বাঙালীসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ, সরকারী কর্মকর্তাগণ এই র‌্যালীতে অংশগ্রহণ করেন। র‌্যালীটি উৎসবমুখর সুন্দর, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হওয়ায় সকলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

তবে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার একটি সাম্প্রদায়িক ও আঞ্চলিক সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতায় ১২ এপ্রিল আরো একটি সার্বজনীন বৈসাবী র‌্যালীর আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে, গত ২৮ মার্চ ২০১৬ ইং তারিখে সদর উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান রনিক ত্রিপুরাকে আহ্বায়ক করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট সর্বজনীন বৈসাবি উদ্যাপন কমিটি গঠন করে ১২ এপ্রিল থেকে বৈসাবি উৎসব পালনের জন্য গত ৯ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে  বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষনা দিয়েছেন।

এ নিয়ে এলাকাবাসী মনে প্রশ্নে সৃষ্টি হয়েছে, একটি সার্বজনীন র‌্যালীর পর আরো একটি সার্বজনীন র‌্যালী কেন?

গত বছরও এই র‌্যালীকে ঘিরে সহিংসতার আশঙ্কায় প্রশাসন র‌্যালী করতে অনুমতি দেয়নি। এ বছরও একই আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

তাদের মত, যেহেতু পার্বত্য জেলা পরিষদ বৈসাবি ও বাংলা নববর্ষ(পহেলা বৈশাখ) পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সে ক্ষেত্রে অপর একটি সর্বজনীন বৈসাবি উদযাপন কমিটি কারার প্রয়োজন হয় না।

তাছাড়া মুখে সার্বজনীন বলা হলেও এই কমিটির প্রায় সকলে একটি পাহাড়ী আঞ্চলিক সংগঠনের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।

তবে মুখে সার্বজনীন র‌্যালির কথা বলা হলেও এর পেছনে যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে তা তাদের র‌্যালির থিম দেখলেই বোঝা যায়। বৈসাবির মতো অরাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবের মধ্যে তারা ‘উৎসবের জন্য চাই নিরাপদ পরিবেশ: জাতিসত্ত্বার জন্য চাই সাংবিধানিক স্বীকৃতি’ শিরোনামে রাজনৈতিক থিম যোগ করে আসল উদ্দেশ্য প্রকাশ করে দিয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিমত।

এদিকে খাগড়াছড়ি শহরে আরো একটি বৈসাবি র‌্যালিকে স্বাভাবিকভাবে দেখছে না স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মঙ্গলবারের এই র‌্যালিতে কোনো প্রকারে যেন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বেোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকবে বলে জানা গেছে।

এব্যাপরে সর্বজনীন বৈসাবি উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক রনিক ত্রিপুরা সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা যে সর্বজনীন বৈসাবি উদযাপন কমিটি করেছি এখানে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক সামাজিক ব্যাক্তি ও জনপ্রতিনিধগণ  আছে। যেহেতু পার্বত্য জেলা পরিষদ একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান তাই তাতে বর্তমান সরকারের কিছু নীতিমালা থাকতে পারে, এই জন্যই আমাদের এ কমিটিটি করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন