মগনামা ইউপি চেয়ারম্যানের নিজ উদ্যোগে বেড়িবাঁধের সংস্কার কাজ শুরু

Pekua Pic 13-06-16 (1) copy

পেকুয়া প্রতিনিধি:

ঘুর্ণিঝড় রোয়ানু’র আঘাতে পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নে বিলিন হয়ে যাওয়া ৭৩ চেইন বেড়িবাঁধের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এ সংস্কার কাজ মগনামা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিমের ব্যক্তিগত উদ্যোগে চলছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘুর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে মগনামা ইউনিয়নের ৯৬ টি পয়েন্টে ৭৩চেইন বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জরিপে দেখা যায় শরতঘোনা অংশে ৫ পয়েন্টে ৭ চেইন, পুরাতন বহদ্দার পাড়া অংশে ৬ পয়েন্টে ১ চেইন, পশ্চিম কূল অংশে ৩ পয়েন্টে চেইন, চেপ্টা খালী অংশে ১ পয়েন্টে ৩ চেইন, লম্বা খালী থেকে ডলইন্যা পাড়া অংশে ১৩ পয়েন্টে ৮ চেইন, ডলইন্যা পাড়া থেকে কাকপাড়া পর্যন্ত ৪ চেইন বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। বেঁডিবাধে এসব ক্ষতিগ্রস্থ অংশ দিয়ে জোয়ার ভাটা অব্যাহত থাকায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়। লবণ মাঠ ও চিংড়ি ঘের ভেসে যাওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ দাড়ায় কয়েক শত কোটি টাকা। ঘুর্ণিঝড় রোয়ানু’র আঘাত হানার পর প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলে গেলেও ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ সংস্কার না হওয়াতে জনর্দূভোগের পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হয় এসব এলাকায়।

জনর্দূভোগের কথা চিন্তা করে ক্ষতিগ্রস্থ মানুুষদের সাথে নিয়ে বেডিবাঁধ সংস্কারের দূঃসাহসিক উদ্যোগ নেন মগনামা ইউপি’র নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান। বিভিন্ন এলাকা সচেতনা মিটিং করে এলাকাবাসী এগিয়ে আনেন। চিংড়ি ঘের মালিক, জমিদার শ্রেণির ব্যক্তিবর্গ এবং সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিরাও সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ সংস্কার কাজে আনুমানিক ৯০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্থ ৭ অংশে বিলিন হওয়া বেড়িঁবাধ সংস্কার কাজ শুরু করা হয়। ১৩টি অত্যাধুনিক স্কেলেভেটরের সমন্বয়ে চলছে এক মহা কর্মযজ্ঞ। চট্টগ্রাম থেকে নদী পথে ফেরিযোগে আনা হয় এসব স্কেলেভেটর। তিন শিফটে তিনজন চালক প্রতিটি স্কেলেভেটর চালাচ্ছেন। এতে করে, রাত দিন ২৪ ঘন্টায় এক মিনিটও থেমে নেই সংস্কার কাজ।

এ ব্যাপারে মগনামা ইউপি’র চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম বলেন, মগনামাবাসীকে সমুদ্রের জোয়ারের পানি থেকে বাঁচানোর জন্য নিজস্ব উদ্যোগে বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। আমার ব্যক্তিগত তহবিল এবং স্থানীয়দের সহযোগীতায় বর্তমানে সংস্কার এগিয়ে চলছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে এ সংস্কার কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন