আম কেনা-বেচায় ক্ষতিগ্রস্ত খাগড়াছড়ির বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা
আমের দ্বিতীয় রাজধানী খ্যাত খাগড়াছড়িতে এবার আমের ব্যাপক ফলন হয়েছে। আম্রপালি, বারি ৪, রাঙগুন ছাড়াও বিদেশী প্রজাতির মিয়াজিক, রেড আইভরিসহ অধিক মূল্যের আমের চাষ হচ্ছে। তীব্র দাবদাহে আমের আকার ছোট হলেও গাছে আশানুরূপ ফলন হয়েছে। তবে পরিচর্যা ব্যয়ের পাশাপাশি অতিরিক্ত টোল আদায় বৃদ্ধিকে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখছেন বাগানি ও ব্যবসায়ীরা।
বিগত এক দশক ধরে কৃষি অর্থনীতিতে পাহাড়ী জেলা খাগড়াছড়ির অবস্থান চোখে পড়ার মতো। পাহাড়ের উর্বর মাটি ও আবহাওয়া কাজে লাগিয়ে এখানে আবাদ হচ্ছে মিশ্র ফল বাগানের। খাগড়াছড়ির বিষমুক্ত সুমিষ্ট আম্রপালি খ্যাতি জেলা ছাড়িয়ে সারাদেশে। এবার আম্রপালি ছাড়াও বিশ্ববিখ্যাত মিয়াজাকি, কাটিমন, কিউজাই, রেড আইভরির মতো বিদেশী জাতের আমের চাষ হয়েছে এখানে।
তীব্র দাবদাহে আম্রপালির আকার ছোট হলেও অন্যান্য জাতের আমের ফলনে খুশি বাগানীরা। তবে শ্রমিক, কীটনাশকসহ বাগান পরিচর্যার ব্যয় বাড়ার কারণে লোকসানের আশংকা করছেন কেউ কেউ।
খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির উপদেষ্টা অনিমেষ চাকমা রিংক বলেন, ফল পরিবহনে সরকারি নির্ধারিত চার্জের বাইরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত টোল আদায়ের কারণে খাগড়াছড়ি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বাইরের ব্যবসায়ীরা। ফলে আম নিয়ে বিপাকে বাগান মালিক, স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক ড. কিশোর কুমার মজুমদার বলেন,, খাগড়াছড়ি জেলায় ৩ হাজার ৭ শ ৩৯ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৭ হাজার ৯ শ ৭৬ মেট্টিক টন। আর্থিক মূল্যে যা ২ হাজার কোটি টাকার মতো হবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় চাহিদার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খাগড়াছড়ির আম গেলেও এবার রপ্তানী যোগ্য পণ্য হিসেবে স্থান পাবে বলে আশা প্রকাশ কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তার।
খাগড়াছড়িতে আম প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া গেলে স্থানীয়দের আর্তসামাজিক অবস্থা আরও উন্নত হবে বলছেন নাগরিক সমাজ।