আরাকান আর্মির সাথে যুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেনসহ এক ডজনেরও বেশী সেনা সদস্য নিহত
পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:
গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের চীন রাজ্যের পেলেটাও শহরে স্বাধীনতাকামী আরাকান আর্মির সাথে যুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একজন অফিসারসহ এক ডজনেরও বেশী সৈন্য নিহত হয়েছে বলে সে দেশের নিউজ পোর্টাল ইরাবতিতে পরিবেশিত এক সংবাদে এ দাবী করা হয়েছে।
দক্ষিণ রাখাইন রাজ্যের কিয়াউকফিউ শহরে অবস্থিত ৫৪২ লাইট ইনফেন্ট্রি ব্যাটালিয়নের নিহত সৈন্যদের মধ্যে ক্যাপ্টেন অং চ্যাং মোয়ে নামের ওই অফিসার ছিলেন।
শুক্রবার বিকেলে আরাকান আর্মির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বার্তায় বেশ কিছু সৈন্যের আইডি কার্ডের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে যার মধ্যে ক্যাপ্টেন অং চ্যাং মোয়ে নামের ওই অফিসারের ব্যাজ, স্কন্ধের র্যাঙ্ক ব্যাজ, তার ব্যবহৃত নাইন এমএম পিস্তল রয়েছে। আরাকান আর্মির দাবী কমপক্ষে ১৫জন সরকারী সৈন্য ওই যুদ্ধে নিহত হয়েছে।
ওই বার্তায় আরাকান আর্মি আরো তিনজন নিহত সৈন্যের ছবি প্রকাশ করেছে। এ ছাড়াও বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জামের ছবিও প্রকাশ করেছে- যার মধ্যে রয়েছে বাইনোকুলার, মাইন ডিক্টেটর, তিনটি এমএ রাইফেল, ২০ রাউন্ড মর্টারের গুলি, ৬ রাউন্ড আরপিজির গুলি প্রভৃতি।
এই ছবিগুলোর মধ্যে আরো একজন ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার অফিসারের আইডি কার্ড ও তিন তারকা বিশিষ্ট র্যাংক ব্যাজ রয়েছে। তবে সো মং মং নাইন নামের ওই অফিসারের মৃত্যু ঘটেছে না তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
৩ মার্চ থেকে আরাকান আর্মির রাজনৈতিক শাখা ইউনাইটেড লিগ ফর আরাকান (ইউএলএ) এর অফিসিয়াল ওয়েব সাইটের মাধ্যমে যুদ্ধের আপডেট খবরগুলো প্রচার করছে। আরাকান আর্মির দাবী, ৪ মার্চ মারুক উ শহরে অপর এক যুদ্ধে মিয়ানমার আর্মির ৩০ জন সৈন্য নিহত হয়েছে।
আরাকান আর্মির দাবী, মারুক উ শহরে মোতায়েনের জন্য মিয়ানমার আর্মির কয়েক ডজন সৈন্য কাঠের নির্মিত ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে নেয়া হচ্ছিল। আরাকান আর্মি ওই নৌকা ডুবিয়ে দিলে তারা মারা যায়।
মিয়ানমার আর্মি স্বীকার করেছে, ডিসেম্বরে আরাকান আর্মির সাথে যুদ্ধে তাদের বেশ কিছু উচ্চ পদস্থ অফিসার নিহত হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে তারা কোনো বিস্তারিত তথ্য দেয়নি।
এদিকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে মেজর অং কো নাইন নামের আরেক অফিসারও এএ’র সাথে যুদ্ধে নিহত হয়েছে।
আরাকান আর্মির মতে, এই লড়াইয়ের পর মিয়ানমার আর্মি ১০ হাজারের অধিক অতিরিক্ত সৈন্য রাখাইনে মোতায়েন করেছে। স্থানীয় ত্রাণ কর্মীদের মতে, এই লড়াইয়ে প্রায় ১০ হাজার স্থানীয় বাসিন্দা বাস্তচ্যুত হয়েছে। তাদের অবস্থা খুবই করুণ।