ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করতে পারে ইসরায়েল

fec-image

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নতুন তথ্যে বিষয়টি সামনে এসেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এই খবর জানিয়েছে।

তবে এই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। বুধবার (২১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

অবশ্য ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েল চূড়ান্ত করেছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মার্কিন প্রশাসনের ভেতরেও বিষয়টি নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে যে-শেষ পর্যন্ত ইসরায়েল হামলা চালাবে কি না, তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে বলেও জানায় সিএনএন।

এদিকে এই প্রতিবেদন সম্পর্কে রয়টার্স এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (এনএসসি) তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। এছাড়া ইসরায়েলি দূতাবাস এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

সিএনএনের প্রতিবেদনে এক গোয়েন্দা সূত্র বলেছে, “সাম্প্রতিক কয়েক মাসে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।”

সূত্রটি আরও জানায়, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে এমন কোনো চুক্তি হয় যেখানে ইরান তার ইউরেনিয়াম মজুদ পুরোপুরি সরিয়ে না নেয়—তাহলে ইসরায়েলের হামলার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন করে একটি কূটনৈতিক সমাধানের চেষ্টা করছে।

সিএনএনের রিপোর্ট অনুযায়ী, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ইসরায়েলের উচ্চপর্যায়ের নেতাদের ব্যক্তিগত ও প্রকাশ্য বক্তব্য, ইসরায়েলের সামরিক যোগাযোগে গোয়েন্দা নজরদারি এবং সামরিক প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে।

দুই মার্কিন সূত্রের বরাতে সিএনএন জানায়, ইসরায়েলের যেসব সামরিক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে, তার মধ্যে রয়েছে—বিমান হামলার জন্য গোলাবারুদ সরানো এবং সাম্প্রতিক একটি বিমান মহড়া সম্পন্ন করা, যা ইসরায়েল বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ইঙ্গিত দেয়।

এর আগে মঙ্গলবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, “আমেরিকার দাবি—ইরান যেন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করে—তা অতিরিক্ত এবং অযৌক্তিক”। তিনি নতুন পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার সফলতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন বলে জানায় ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইরান, ইসরায়েল
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন