ইরানের মিসাইল হামলায় কেঁপে উঠল ইসরায়েলের বিভিন্ন শহর


ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। গত দুদফায় ইসরায়েলের ওপরে ইরান হামলা চালিয়ে একের পর এক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে দিচ্ছে। ইসরাইল হামলা বন্ধ না করলে ইরান তাদের হামলা আরো তীব্র করার হুমকি দিয়েছে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধসে পড়েছে ইসরায়েলের আত্মবিশ্বাস। শনিবার ১৪ জুন রাতে টানা মিসাইল হামলায় কেঁপে উঠেছে হাইফা, তেলআবিব, বাত ইয়াম, জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৮ জন নিহত এবং ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
একের পর এক বিস্ফোরণে বাত ইয়াম শহরের অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। সেখানে ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম। তেলআবিবের দক্ষিণে অবস্থিত বাত ইয়ামে উদ্ধারকাজ এখনো চলছে। হামলায় আহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে, যাদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ছাড়া তেলআবিবের দক্ষিণে রেহোভট শহরেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। সেখানে কমপক্ষে ৩৭ জন আহত হয়েছে ।
এদিকে ইরানও হামলার শিকার হয়েছে। ইসরায়েলের বিমান হামলায় তেহরানের এক আবাসিক ভবন কমপ্লেক্সে ৬০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। নিহতদের মধ্যে ২০ জনই শিশু।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলছে যে, গত দুদিনে ইরান দুই দফায় ইসরাইলের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে মিসাইল হামলা চালায়। শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে ইরান প্রথম দফায় মিসাইল হামলা শুরু করে। দ্বিতীয় দফায় রোববার ভোরে তেল আবিবে ড্রোন হামলা চালানো হয়।
রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ঘোষণা দেয়, এ ধাপে ড্রোন ও ১০০টির বেশি মিসাইল দিয়ে আক্রমণ চালানো হচ্ছে ইসরাইলের কয়েকটি শহরে। এ পর্যায়ে মূল লক্ষ্য তেল আবিব ও হাইফা শহর বলেও ওই খবরে উল্লেখ করা হয়।
ইরানি হামলায় বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিব এবং রামাত গানেও বেশ কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ইরানের এ হামলার আগে সব ইসরায়েলিকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ইরানে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে প্রাণ হারান ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীরা।