উপজেলা নির্বাচন: নাইক্ষ্যংছড়িতে নৌকার একক প্রার্থীর মনোনয়ন পেয়েছেন অধ্যাপক শফিউল্লাহ

বাইশারী প্রতিনিধি:

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসেবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে অবশেষে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ।

রোববার (১০ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের ১২২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছেন।

প্রকাশিত এ প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের একক প্রার্থী হিসেবে অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও দৌছড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাবিবুল্লাহ ও বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলম কোম্পানী সহ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাচিং মার্মা জানান, দলের ভেতরে বাইরে শফিউল্লাহ’র প্রচুর সুনাম রয়েছে। শুধু একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে নয়, সংগঠক, শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক, দানবীর হিসেবেও অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ পরিচিত। রাজনৈতিক জীবনে দক্ষ, মেধাবী ও চৌকষ হিসেবে তিনি সুবিদিত।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তসলিম ইকবাল চৌধুরী সংবাদিকদের জানান, অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ দল এবং পাহাড়ি বাঙ্গালীদের পরীক্ষিত বন্ধু ও পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এর আস্থাভাজন হিসেবেও পরিচিত। সুষ্ঠু নির্বাচনে শফিউল্লাহ বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়ায় দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ মনোনয়ন কমিটির সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ।

অপরদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের অভিভাবক পাহাড়ি- বাঙালীদের পরীক্ষিত বন্ধু পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির প্রতি তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

রবিবার নাইক্ষ্যংছড়ি আওয়ামী লীগের ত্যাগী এই নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার পাহাড়ি-বাঙ্গালী ও ৫ ইউনিয়নের আওয়ামী পরিবারের নেতা কর্মীদের মাঝে শুরু হয় আনন্দের বন্যা। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন