জীবনে কিছু ভুল, যা ক্ষমার অযোগ্য : মিয়া খলিফা

fec-image

সাবেক পর্ন তারকা মিয়া খলিফা পর্ন ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার পরও বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়। এ তারকার কথায় জানা যায়, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে মাত্র তিন মাস পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। আর এর মধ্য দিয়েই পর্নহাবের শীর্ষ তারকা বনে যান। তবে পর্ন দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার পর অনেক কষ্ট সইতে হয়েছে মিয়া খলিফাকে। এখন তার অনুভব, কিছু ভুল হয়ে যায় জীবনে, যা ‘ক্ষমার অযোগ্য’। মানুষ যখন তাকে ‘পোশাকের ভেতর দিয়ে’ দেখে, ‘খুব লজ্জা’ হয় তার।

সম্প্রতি ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির ‘হার্ড টক’-এ স্টিফেন সাকুরের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমনটাই বলেন সাবেক পর্ন তারকা মিয়া খলিফা। সাবেক পর্ন তারকা বলেন, ঠিক কত দিন এ ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন আর সেখান থেকে কামিয়েছেন বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ লাখ টাকার মতো।

মিয়া জানান, পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছিলেন। তার পরিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধব তাকে ছেড়ে চলে যান।

মিয়া খলিফা বলেন, ‘শুধু এই দুনিয়া থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাইনি, আমার পরিবার ও চারপাশের মানুষজন আমাকে একঘরে করে দিয়েছিল। বিশেষ করে, যখন আমি ছেড়ে দিলাম, খুব নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছিলাম। আমি বুঝতে পারলাম, কিছু ভুল ক্ষমার অযোগ্য। কিন্তু সময় সবকিছু বদলে দেয়। এখন আমার অবস্থা ভালোর দিকে।’

মিয়া খালিফা স্টিফেন সাক্কুরকে বলেছেন, পর্ন ইন্ডাস্ট্রির বিপদসমূহ নিয়ে এখন আলোচনা করা প্রয়োজন। জোরপূর্বক পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করানো নিয়েও কথা বলেন তিনি।

পর্ন ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার পর খুবই মানসিক চাপের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। কারণ, মানুষজন তার দিকে ‘অন্যভাবে’ তাকিয়ে থাকত। ‘আমার মনে হতো, লোকজন আমাকে পোশাকের ভেতর দিয়ে দেখছে এবং এ জন্য আমার খুব লজ্জা পেত। মনে হতো, বোধ হয় আমি নিজের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সবটুকু হারিয়ে ফেলেছি। কারণ, গুগলে সার্চ করলেই তো আমাকে পাওয়া যায়,’ বলেন মিয়া।

পর্ন দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার পরে মিয়া খলিফা গ্রন্থাগারিক হিসেবে কাজ করা ছাড়াও আরো বিভিন্ন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন।

গত বছর প্রেমিক রবার্ট স্যান্ডবার্গের সঙ্গে আংটিবদল করেন মিয়া খলিফা। শিকাগোতে এই লেবানীয়-মার্কিন ক্রীড়া শো সঞ্চালক ও সাবেক পর্নস্টারকে প্রস্তাব দেন সুইডেনের রন্ধনশিল্পী রবার্ট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাগদানের খবর জানান দুজনই। সূত্র : ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস, হিন্দুস্তান টাইমস

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন