এমবাপ্পের জোড়া গোল, সবার আগে শেষ ষোলোয় ফ্রান্স

একুশ শতকে শেষ চার বিশ্বকাপে শিরোপাধারী কোন দলই গ্রুপপর্বে বাধা পার হতে পারেনি। বিশ্বমঞ্চে আসার আগে একের পর এক চোটে বিপর্যস্ত হয়ে ফ্রান্সও ছিলো এমন শঙ্কায়। কোন এক অজানা ভয়ে চাপেও ছিলো দলটি। কিন্তু, ফরাসিদের মনের সব ভয় যেন কেটে যায় প্রথম ম্যাচেই। আসরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে শাপমোচনের অভিযান শুরু করে শিরোপাধারীরা। এবার, ডেনমার্ক পরীক্ষায়ও পাশ দিদিয়ের দেশমের দল।
প্রথম ম্যাচে জিরু-এমবাপ্পের মাথায় ভর করে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল দিদিয়ের দেশমের ফ্রান্স। শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে আসরের ‘ডাক হর্স’ খ্যাতি পাওয়া ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে লেস ব্লুজরা। দুই গোলই করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি ফ্রান্স। তবে আক্রমণাত্মক খেলায় ত্রস্ত করে রেখেছিল ডেনিসদের। গোল মুখে প্রথমার্ধে সাতটি আক্রমণ তুলেছিল। চারটি পরিষ্কার শট ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু ডেনিস গোলরক্ষক কাসপার স্মাইকেল দুর্দান্ত দক্ষতায় তা ফিরিয়ে দেন।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারা ধরে রাখে দেশমের দল। ফলও পেয়ে যায়। ম্যাচের ৬১ মিনিটে ফ্রান্সম্যান এমবাপ্পে গোল করেন। লেফট ব্যাক থিও হার্নান্দেজের ক্রস ধরে বল জালিয়ে পাঠিয়ে দেন রাশিয়া বিশ্বকাপে সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাওয়া এমবাপ্পে।
কিন্তু প্রথমার্ধে রক্ষণ সামলাতেই ব্যস্ত থাকা ডেনমার্ক মুহূর্তেই ফ্রান্সের ওই গোল শোধ করে দেয়। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে গোল করেন বার্সায় খেলা ডেনিস ডিফেন্ডার আন্দ্রে ক্রিস্টেনসেন। আবার জমে ওঠে ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত গোলে সাতটি শট নেওয়ার পরে ম্যাচের ৮৬ মিনিটে জয় সূচক গোলটি করেন এমবাপ্পে। বদলি নামা কিংসলি কোম্যান একেবারের গোলের মুখে ক্রস দেন। দ্রুতগতির এমবাপ্পে শরীর ঠেকিয়ে বল জালে পাঠিয়ে স্টেডিয়াম ৯৭৪ উল্লাসে ভাসান।