দুই মিনিটে এমবাপ্পের জোড়া গোলে সমতায় ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা

fec-image

ফাইনালের শেষ প্রান্তে এসে মাতিয়ে দিলেন এমবাপ্পে। দুই মিনিটে ২ গোল করলেন তিনি। প্রথমে ফ্রান্সের আক্রমণের সময় বক্সের মধ্যে হাঁটু দিয়ে কোলো মুয়ানিকে মারেন ওটামেন্ডি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন এমবাপ্পে।

পরের মুহূর্তেই আবার আক্রমণ করে ফ্রান্স। ডান দিক থেকে এমবাপ্পেকে লম্বা বল পাস দেন কোমান। হাঁবিয়ের সঙ্গে দ্রুত পাস খেলে মাটিতে পড়ে যেতে যেতে অনবদ্য শটে গোল করলেন এমবাপ্পে।

২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আর্জেন্টিনা
২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা। ম্যাচ শুরুর ৩৬ মিনিটেই গোল করলেন ডি মারিয়া। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়েছিলেন মেসি। তিনি ডিফেন্সচেরা পাস দিলেন ম্যাক অ্যালিস্টারকে। তার থেকে পাস পেয়ে চলতি বলে শট নিয়ে গোল করলেন ডি মারিয়া।

পেনাল্টি পেল আর্জেন্টিনা
ম্যাচ শুরুর ২৩ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিলেন মেসি। হুগো লরিস ঝাঁপালেন ডান দিকে। মেসি পেনাল্টি মারলেন বাম দিকে।
তবে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিল বিতর্ক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফাউল হয়নি। বিতর্কিত সিদ্ধান্তে পেনাল্টি পেল আর্জেন্টিনা।

মাঠে নামল দুই মহাতারকা
আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের ফাইনালে দুই মহাতারকার লড়াই। জাতীয় দল কিংবা ক্লাব ফুটবলে প্রতিপক্ষ এমবাপ্পেকে হারাতে পারেননি মেসি। এবার বিশ্বকাপ জিতে চূড়ায় ওঠার সুযোগ এলএম টেনের। কাতার মিশনে মেসি দুরন্ত ফর্মে, এমবাপ্পেও প্রায় প্রতি ম্যাচেই দলের সাফল্যে অবদান রাখছেন। শিরোপা লড়াইয়ে এই দুইজন দুই দলের মূল ভরসা।
ক্লাবে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আন্তর্জাতিক ফুটবলে রূপ নেয় বৈরিতায়। মহাতারকাদের লড়াই আগেভাগে উত্তাপ ছড়ায়। রোনালদো-নেইমাররা নেই, ৩৫-এর মেসির এখন ২৩ বছরের এমবাপ্পের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

চ্যাম্পিয়ন হতে যে দুই দলের লড়াই, তাদের দুই মহাতারকা খেলেন পিএসজিতে। মেসি-এমবাপ্পে, ক্লাব সতীর্থ। ওখানে গোল করা-করানোয় কিংবা উদযাপনের সঙ্গী।

জাতীয় দল তাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, বিশ্বকাপ ফাইনালে। আর্জেন্টিনার প্রাণ লিওনেল মেসি, আর কিলিয়ান এমবাপ্পে ফরাসিদের মূল অস্ত্র। দলে দুইজনের ভিন্ন ভূমিকা হলেও তারাই স্পটলাইটে থাকেন।

অধিনায়ক মেসি আকাশি-নীলের কেন্দ্রীয় চরিত্র। ম্যাচের গতি নির্ভর করে তার ক্যারিজম্যাটিক পারফরম্যান্সের ওপর। গোল করায় এবং করানোয় তাকে ধরার কেউ নেই। দুর্বোধ্য অ্যাংগেলে থ্রু কিংবা ড্রিবলিংয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভেঙে দেওয়া অতুলনীয়, অবিশ্বাস্য মেসি। এই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ১২ গোলের ৮টায় মেসির অবদান।

মেসি-এমবাপ্পের দ্বৈরথে রাশিয়ার স্মৃতি ফিরে এলে বিপদ আর্জেন্টিনার। কারণ রাউন্ড অব সিক্সটিনে সেবার এমবাপ্পের আগুনেই পুড়েছিল মেসির দল। জোড়া গোলে কাঁপিয়ে দেন ফ্রান্সের নবীন তারকা।

রাশিয়া থেকে কাতার, চার বছর পর আরও পরিণত এমবাপ্পে। গতির সাথে পারফেক্ট ফিনিশার বলেই তাকে আটকানো কঠিন। গোলের নেশা এরই মধ্যে তাকে সেরার কাতারে তুলেছে। ক্লাবের মতো জাতীয় দলেও এমবাপ্পে দুর্দান্ত-দুর্বার।

নাম্বার টেনের দ্বৈরথ, লড়াইটা কেবল শিরোপার গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়। দুইজনেই গোল্ডেন বুট ও বলের দাবিদার। ছয় ম্যাচে পাঁচ গোল, তিন অ্যাসিস্ট মেসির। চারবার ম্যাচসেরা হয়ে রেকর্ডও গড়েছেন। এমবাপ্পে পাঁচ গোলের পাসে যোগান দিয়েছেন দুইটায়।

দুইজনের কাছে ফাইনালের মাহাত্ম দুইরকম। এমবাপ্পে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের অপেক্ষায়, মেসিরও দ্বিতীয় এবং শেষ সুযোগ। ২০১৪’র কান্না মুছে দেবার পালা। মেসির হাতে বিশ্বকাপ দিয়ে ফুটবলও যেন ঋণমুক্ত হতে চাইছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আর্জেন্টিনা, এমবাপ্পে, ফ্রান্স
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন