কাজের মেয়ের সাথে শিল্পী আরেফিন রুমির প্রকাশিত অশ্লীল ছবিটি সঠিক নয়
পার্বত্যনিউজ রিপোর্ট:
স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর পরই ফেসবুকে রুমির সঙ্গে একটি মেয়ের অন্তরঙ্গ ছবি নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছবিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে। হাসান খান নামের এক ব্যক্তি ওই ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করেন। সাথে সাথে বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া ও জাতীয় পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়। স্বাভাবিকভাবে খবরটি পার্বত্যনিউজে প্রকাশিত হলে একজন পাঠক ছবিটি রুমির নয় বলে দাবী করেন। তিনি দাবী করেন এটি ভারতীয় একটি কলেজ গোয়িং কাপলের ভিডিও। ভারতীয় একটি পর্ণোসাইটে ভিডিওটি আপলোড করা আছে। সেখান থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে ছবিটি ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে। বিশেষ একটি এঙ্গেলে ছেলেটির চেহারার সাথে আরেফিন রুমীর চেহারার হুবহু মিল থাকায় গণমাধ্যমগুলো সহজেই তা লুফে নিয়েছে।
হাসান খান নামের ঐ ফেসবুক ব্যবহারকারী দাবি করেন, আরফিন রুমির সঙ্গে ছবির ওই মেয়েটি রুমির বাসার কাজের মেয়ে। আর ছবিটি তুলেছেন রুমির প্রথম স্ত্রী। তিনি আরো বলেন, ওই ছবি নিয়ে মামলা করে রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা। অন্যদিকে, রুমির শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন ছবিটি ফটোশপে তৈরি করা। এটি নাকি পুরোপুরি বানানো একটি ছবি। আবার অনেকেই বলছেন, তার যে চরিত্র এরকম কাজ তিনি করতেই পারেন। তবে সত্য-মিথ্যা যাই হোক না কেন রুমির এই অন্তরঙ্গ ছবিটি নিয়ে গুঞ্জন ক্রমেই বেগবান হচ্ছে।
এদিকে স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতার হওয়া কণ্ঠশিল্পী আরফিন রুমিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতনে সহযোগিতা করার অভিযোগে রুমির ভাই ইয়াসিন রনিকেও জেলহাজতে পাঠানো হয়। গতকাল দুপুরে রুমি ও রনিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমানের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি আজিজুল হক বলেন, নির্যাতনের অভিযোগ এনে রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা শুক্রবার রাতে মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথম স্ত্রী অনন্যা মামলায় শারীরিক নির্যাতনসহ বেশকিছু অনৈতিক অভিযোগ এনেছেন। অনন্যা বলেন, শুধু একাধিক মেয়েই নয়, বাসার কাজের মেয়ের সঙ্গেও অনৈতিক সম্পর্ক গড়েছিলেন রুমি। এমনকি বাসার কাজের মেয়ের সঙ্গে রুমির একটি অশ্লীল ছবিও এরই মধ্যে ফেসবুকে প্রকাশ হয়েছে। ওই ছবি নিয়ে এরই মধ্যে মিডিয়াঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মতিন জানান, যৌতুকসহ বিভিন্ন অজুহাত এনে দীর্ঘদিন ধরে অনন্যাকে নির্যাতন করে আসছিলেন রুমি। মাঝেমধ্যে তিনি কোনো কারণ ছাড়াই স্ত্রীকে পিটিয়ে বাসা থেকে বের করে দিতেন। এ ছাড়া প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই আরেকটি বিয়ে করেন। শুক্রবার রাতেও তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন রাতে মামলা করেন অনন্যা। পরে ভোরে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রুমি ও তার ভাই রনিকে গ্রেফতার করা হয়।
মাত্র দুই থেকে তিন বছরের ক্যারিয়ারে ক্রমাগত নোংরামি আর অসভ্যতার বিকৃত উদাহরণই শুধু তৈরি করেছেন আরফিন রুমি। রুমির একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহশিল্পী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, এতটা নোংরা মনের আর অহংকারী শিল্পী কমই দেখেছি। অহংকার আর অসদাচরণের তার আজকের এই পরিণতি হয়েছে। ভয় হয় আবারও কোনো প্রলোভন দেখিয়ে সে তার প্রথম স্ত্রীকে বশ করে ফেলে কি না।
এদিকে, রুমির ঘনিষ্ঠ অডিও প্রকাশক মারফত প্রথম স্ত্রী অনন্যাকে চাপ ও ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে বলে তার প্রথম স্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানান। এ ঘটনায় আপোসের ব্যাপারে আরফিন রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা একাধিকবার সাংবাদিকদের বলেন, একটা শর্তেই রুমির সাথে আপোস করতে পারি, তা হলো, তাকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নেসাকে ডিভোর্স দিতে হবে।
অন্যদিকে, তার দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নেসা এবার রুমির সাথে আমেরিকা থেকে দেশে এসে ঈদের আগে এই পরিস্থিতি দেখে হতবাক। তাই তিনি দ্রুত বাংলাদেশ ছাড়ার পরিকল্পনা নিচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আচরণগতভাবে রুমি তার আরেক গুরু হাবিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিলেন। হাবিব তার খ্যাতি পাওয়ার সাথে সাথে যেমন প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘরে তুলেছিলেন। কিন্তু এক্ষেত্রে রুমি নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন। গেল ঈদে রুমি আমেরিকা থাকাকালীন তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহচর মোস্তফা কামাল রাজ ও সিডি চয়েজ নিজ উদ্যোগে রুমির সলো অ্যালবামের বিশাল লঞ্চিং অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, অবশ্য সেখানে ঠাঁই হয়নি তার প্রথম স্ত্রীর। অবাক আর বিস্ময়ে ক্রমশ যেন হতবাক হতে থাকেন রুমির প্রথম স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সকলে। আর এত কিছুর প্রকৃত ফলাফল দিয়েছে যেন মূলত দেশের অগণিত শ্রোতা। রুমির সলো অ্যালবাম বাজারে সুপার ফ্লপ হয়। শুধু তাই নয়, দুর্ব্যবহার ও অসভ্যতা করার দায়ে আয়োজকরা রুমিকে মারধর করে এক মঞ্চ থেকে বের করে দেন। সে খবরও একাধিক মিডিয়ায় প্রকাশ পায়।
এদিকে পাঠকের দেয়া তথ্য যাচাই করে পার্বত্যনিউজ নিশ্চিত হয়, স্ক্রিনশটের ছবিটি আরেফিন রুমির নয়। সেকারণে পার্বত্য নিউজ থেকে ছবিটি সরিয়ে ফেলা হলো । আসল স্ত্রিনশট তুলে ধরা হলো যাতে পাঠক সত্যটা জানতে পারে।
Facebook Comment
আরেফিন রুমিকে নিয়া অনলাইন মাতোয়ারা। তার সাথে যুক্ত হয়েছে একটি ছবি। সত্যানুসন্ধানের জন্য পার্বত্য নিউজকে ধন্যবাদ। কারো চরিত্র হননের উদ্দেশ্যে মিথ্যা ছবি দিয়ে প্রচারনা করা ঠিক নয়। রুমী যতটুকু অন্যায় করেছে, তার বিচার হতে পারে। কিন্তু অযাচিত মিথ্যাচার নয়।
এই পাপিটার কঠিন বিচার চাই।
মিডিয়ার দোহাই দিয়ে সাধারণ মেয়েদের প্রেমের জালে বন্ধি করে
নিজ স্বার্থচরিতার্থ করে অন্যের জীবন ধ্বংশ করাই এদের কাজ।
হয়ত এইসব মেয়েদের পাশে আজ কেই নেই কিন্তু এদের পাশে দাড়িয়ে সমাজের এই বিষাক্ত পাপিগুলিকে চিরতরে ডাজবীনে নিক্ষেপ করা উচিত। যাতে করে এরা কখনো মিডিয়ার সামনে আসতে না পারে।
He/She is not good who think this without any research. For all my request click this page and see Details. This isn’t Rumi.
tar dos dela hobe na nesoi tar aesterer dos hota pare tai bolse ja korban aektuo buja suna
আরফিন রুমির মত দুশ্চরিত্রা লম্পটদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে ভবিষ্যতে যাতে অন্যরা সতর্ক হয় সে ব্যাবস্থা করতে হবে।
কড়্নেল ডালিম