কাপ্তাইয়ে ৩৩৮ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন দীপংকর তালুকদার এমপি
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে ৩৩৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি।
প্রকল্পটির আওতায় উপজেলার ২নং রাইখালী ইউনিয়নের কারিগরপাড়া বাজার থেকে বিলাইছড়ি উপজেলা সদর পর্যন্ত ৪০ কি. মি. সড়ক উন্নয়ন এবং ১১টি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯টায় তিনি কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়ন কারিগর পাড়া বাজারে এ নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়।
উক্ত সড়কটি দুই উপজেলার মধ্যে যোগাযোগ ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত সৃষ্টি হবে। এতে করে অবহেলিত লোকজনের কষ্টদূরসহ পর্যটনশিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে। গত ৪ মে একনেকের সভায় গণভবন হতে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের অনুমোদন দেন। ৩৩৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ শফি,
রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম চৌধুরী, চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী, কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ,রাইখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুইচাইপ্রু মারমা, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ তালুকদার সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
কাপ্তাই উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, রাঙামাটি জেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ২০২৫ সালের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
রাঙামাটি জেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, কাপ্তাইয়ের কারিগর পাড়া থেকে বিলাইছড়ি পর্যন্ত সর্বমোট ৪০ কি. মি. দুর্গম সড়ক নির্মাণ করা হবে। তৎমধ্যে ৩১ কি. মি. কাপ্তাই অংশে এবং ৯ কি. মি. বিলাইছড়ি উপজেলার অংশে পড়েছে। অধিকাংশ পথই উঁচু নিচু পাহাড় বেষ্টিত। এ ৪০ কি. মি. সড়কে ৭টি কাপ্তাই উপজেলা অংশে এবং ৪টি বিলাইছড়ি উপজেলা অংশে সর্বমোট ১১টি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। বিলাইছড়ি অংশে প্রতিটি ব্রিজ হবে ৪শ মিটার।
এ বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জনগণ, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা।