কুতুবদিয়ায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি


কক্সবাজার কুতুবদিয়া উপজেলায় ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা বসতবাড়ি, ফসল, মৎস্য, গবাদি পশুর ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। আলী আকবর ডেইল ও কৈয়ারািবল ইউনিয়নে সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হবার খবর পাওয়া গেছে।
উত্তর কৈয়ারািবল , মধ্যম কৈয়ারাবল, মলমচর , ঘিলাছড়ি, পরান সিকদার পাড়া, দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের বাতিঘর পাড়া, লেমশীখালীর পেয়ারা কাটা, আলী আকবর ডেইল কাজির পাড়া, কাহার পাড়া, সাইট পাড়া,আনিছের ডেইল, কুমিড়া ঘোনা প্রভৃতি জায়গায় ভাঙা বেড়িবাঁধ ও কাচা বাঁধ ডিঙ্গিয়ে সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১০ টার দিকে সাগরের ফুসে ওঠা পানি প্রবেশ করতে থাকে।
তলিয়ে যায় নিচু এলাকা। প্রচণ্ড বাতাসে উপড়ে পড়ে অনেক গাছ, কাঁচা ঘরসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কৈয়ারবিল ৫নং ওয়ার্ডে বেড়িবাঁধে আকতার সওদাগরের দুটি দোকান উড়ে গেছে। দক্ষিণ ধুরুং পরিষদের পাশে আইডিয়াল প্রি-ক্যাডেট ইনস্টিটিউট (কেজি স্কুল) একটি কাচা ভবনে টিন উড়ে গেছে। এছাড়াও গাছ উপড়ে পড়ে দুটি কক্ষ পুকুরে চলে গেছে।
প্রধান শিক্ষক শওকত খলীল বলেন, স্কুলের একটি টিনশেড ঝড়ে উড়েই গেছে। ভেঙে গেছে মেঝেসহ অনেক আসবাব-পত্র। এটি মেরামত করতে অন্তত ৫০ হাজার টাকা খরচ হবে বলে তিনি জানান।
কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজমগীর বলেন, ব্যাপক প্রস্তুতি ও জনসচেতনা বৃদ্ধিতে পরিষদের বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে পানি প্রবেশ করে ইউনিয়নের অর্ধেকটা ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ৩ ও ৪নং ওয়ার্ডে বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসকারী পরিবারগুলো অধিক ক্ষয়-ক্ষতির শিকার হয়েছে।
আলী আকবর ডেইল ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সিকদার বলেন, কাজির পাড়া, কাহার পাড়া, আনিছের ডেইল, সাইট পাড়া সহ কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে ফুসে ওঠা পানি ভিতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, সোমবার ঘর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে আশ্রয় নেয়া মানুষদের মাঝে দুবেলা খাবার দেয়া হয়েছিল। চিকিৎসা, যাতায়াতসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া ছিল। কয়েকটি জায়গায় ভাঙা বাঁধ টপকিয়ে পানি ওঠায় ও বাঁধের বাইরে থাকা অন্তত আড়াই হাজার বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও মাছ, গবাদি পশু, হাসমুরগি, গাছ-পালা, রাস্তা-ঘাটের ক্ষতিসাধন হয়েছে। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে সহায়তার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে তালিকা নিচ্ছেন। যা জেলা প্রশাসককে ইতিমধ্যে অবগত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।