কুতুবদিয়ায় সরকারি খাল ভরাট: প্রতিবাদ করায় এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় প্রবাহমান খাল দখলে নিতে মাটি ভরাট করে উল্টো এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দিয়েছে উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, স্থানীয় প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে চেয়ারম্যান আবদুল হালিম ধুরুং বাজার সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে আজম রোডে ওলুখালী খাল দখল করে মাটি দিয়ে ভরাট করছেন। ফলে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানালে স্থানীয় প্রশাসন ওই স্থান পরিদর্শন করে।
স্থানীয় এলাকাবাসী মো, শাহজাহান জানান, চেয়ারম্যান হালিম জনস্বার্থের কথা বলে সরকারি সওজ এর খাস জমি দখল করে সেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। খালের অর্ধেকটা ইতিমধ্যে ভরাট করে ফেলেছেন।
দক্ষিন ধুরুং ও উত্তর ধুরুং ইউনয়নের সীমানায় খালটি থাকায় বৃষ্টি কিংবা জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে নিষ্কাশনের সুযোগ নেই। এটি ভরাট করলে ওই ভোগান্তি পুরো দু’ইউনিয়নবাসীকে ভুগতে হবে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান হালিম জাপানি টাকার প্রভাবে সরকারি খাল দখল করার সাহস দেখাচ্ছে। জোর করে ফের মাটি ভরাট করায় গত সোমবার স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট স্থানে মানববন্ধন করলে ক্ষিপ্ত হয়ে পরদিন মাটি ভরাট করতে গেলে স্থানীয়রা আবার বাধা দেয়।
তবে খাল দখলের বিষয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম বিভিন্ন ধরনের কথা বলছেন। তিনি একবার সীমানা গেইট হবে বলে জানান সাংবাদিকদের। আবার বলেন, পার্ক বা সিএনজি স্টেশন হবে। এ ধরণের নানা বক্তব্য দিয়ে আসছেন তিনি।
এই ঘটনার সূত্র ধরে গতকাল মঙ্গলবার চেয়ারম্যান থানায় এলাবাসীর বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনসহ (বাপা) বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গোলাম কবির বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।