কুতুবদিয়ায় পাঠ্যবইয়ের ঘাটতি নিয়েই বছর শুরু
কুতুবদিয়ায় নতুন বছরে পাঠ্যবই ঘাটতি নিয়েই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। পর্যাপ্ত পাঠবই না আসায় সবার হাতে বই দেয়াও সম্ভব হয়নি। প্রাপ্ত পাঠ্যবই বছরের শুরুতে আংশিক বিতরণ হয়েছে। বাকীগুলো আসার অপেক্ষায় শিক্ষার্থীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছেছে অর্ধেক।
উপজেলায় ৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তালিকাভ’ক্ত ২৮টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। প্রাথমিকে প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে বিতরণ হয়েছে মাত্র ৩৩ শতাংশ পাঠ্যবই। প্রাক-প্রাথমিকে অনুশীলনী খাতা বিতরণ হলেও আসেনি আমার বই। ৬টি পাঠ্যবইয়ের মধ্যে ২টি করে বিতরণ করা গেছে। এ ছাড়া সব শ্রেণিতে চাহিদার ৩৩ শতাংশ পাঠ্যবই এসেছে।
মাধ্যমিকেও প্রায় একই অবস্থা পাঠ্যবইয়ের। করোনায় সীমিত ক্লাস হলেও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অনেক শিক্ষার্থী পাঠে নেমে পড়েছে। তবে পাঠ্যবই ঘাটতি থাকায় বিপাকে তারা।
ধুরুং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ প্রধান শিক্ষক মোর্শেদুল আলম বলেন, ৭ম শ্রেণির সব বই বিতরণ হয়েছে। অষ্টম শ্রেণিতে বিতরণ করা হয়েছে আংশিক। বাকিগুলো কখন মিলবে তা জানা যায়নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. রজব আলী বলেন, পাঠ্যবইয়ের চাহিদা বেশি থাকলেও ছাপানো সহ বিভিন্ন কারণে সব বই হাতে আসেনি। চাহিদার ৫২ শতাংশ বই তারা বিতরণ করেছেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, চাহিদার পর্যাপ্ত বই বছরের শুরুতে আসেনি। ফলে যা এসেছিল তা বিতরণ হয়েছে। বাকি পাঠ্যবই এলেই তা দ্রুত বিতরণ হবে বলে জানান তিনি।