কুতুবদিয়ায় ২০০ টাকা শুনেই ১০ ভাগে নেমে এসেছে নমুনা প্রদানকারী

fec-image

সরকারি সিদ্ধান্তে করোনা পরীক্ষা করাতে ২০০ টাকা ফি এর কথা শুনেই ১০ ভাগে নেমে এসেছে নমুনা প্রদানকারী। ২৯ জুন পর্যন্ত উপজেলায় ৫৬ জন করোনা আক্রান্ত। এদের অনেকেই ফলোআপ নমুনা দেবেন। সংস্পর্শের দরুণ ৪ থকে ৫ গুণ নমুনা নেয়ার প্রয়োজন হয়। যে কারণে ২৯ জুন ৫১ জনে নমুনা দিয়েছেন করোনা পরীক্ষার জন্য। সরকারি সিদ্ধান্তে হাসপাতালে এসে নমুনা দিলে ফি ২০০ টাকা। আর বাড়িতে গিয়ে সংগ্রহ করলে জনপ্রতি ৫০০ টাকা লাগবে।

উপজেলা হাসপাতালে নমুনা কালেকশন সেন্টারে ৩০ জুন মাত্র ৫ জনে নমুনা দেন বলে নমুনা সংগ্রহকারী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) গোলাম মওলা ও ইপিআই টেকনশিয়ান সৈয়দ কামরুল হাসান জানান। এক দিনেই দশ ভাগের একভাগে নেমেছে। মাত্র ৫ দিন আগেও দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের জন্য মাইকিং করা হলেও সে ক্যাম্পে কেউ নমুনা দিতে আসেনি। এমন পরিস্থিতিতে নমুনা দিতে অনাগ্রহ ও দরিদ্রতায় নমুনা প্রদানে অপারগ হবে দ্বীপের দরিদ্র জনগোষ্ঠী।

রেডজোন অধ্যুষিত উত্তর ধুরুং ইউনিয়নে চৌকিদার কবির আহমদ করোনায় আক্রান্ত। সংস্পর্শে আসা তার পরিবারে আরও ৫ জন পজিটিভ। এই দরিদ্র পরিবারে ৬ জনের ফলোআপ নমুনা পরীক্ষা করাতে লাগবে ৩ হাজার টাকা। ওই ইউনিয়নে ২৪ জন করোনা পজিটিভ রোগীর সিংহভাগই অতি দরিদ্র। কারো পক্ষেই এত টাকা দিয়ে ফলোআপ নমুনা দেয়া সম্ভব নয়।

উত্তর ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান আ.স.ম শাহরিয়ার চৌধুরী বলেন, তার ইউনিয়নে করোনা আক্রান্ত পরিবার ছাড়াও ফলোআপ ও লকডাউনে থাকা কোন পরিবারই সরকার নির্ধারিত ফি দিয়ে পরীক্ষা করাতে পারবেনা। স্বাস্থ্য বিধি মেনে আক্রান্তরা কিভাবে হাসপাতালে গিয়ে ২০০ টাকায় নমুনা দেবে। আক্রান্তদের ৯৫ ভাগই অতি দরিদ্র। ফলে করোনা আরও সংক্রামক বেড়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কুতুবদিয়া, নমুনা প্রদানকারী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন