চকরিয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে রোধ

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। উপজেলা তথ্য কেন্দ্র (তথ্য আপা প্রকল্প-২) এর তথ্য কর্মকর্তা মাসুদা আক্তারের নেতৃত্বে তথ্য অফিসের সহকারী টুম্পা নাথ ও রুমাইনা জন্নাত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে এ বাল্যবিবাহ আটকে দেন।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দিকে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর ঘুনিয়াস্থ মেয়ের বাড়িতে তথ্য অফিসের কর্মকর্তা উপস্থিত হয়ে এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন।

চকরিয়া উপজেলা তথ্য কর্মকর্তা মাসুদা আক্তার বলেন, তাদের কাছে গোপন সংবাদ আসে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর ঘুনিয়া এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে ও দিগরপানখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রীর সাথে একই এলাকার বদিউল আলমের ছেলে মো. সাগরের সাথে আগামী সোমবার বিয়ের দিন তারিখ ধার্য্য ছিল । এরই আলোকে রবিবার রাতে ওই স্কুল ছাত্রীর মেহেদী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তার পরিবার। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান স্যারকে অবগত করি। তিনি আমাদের নির্দেশ দেন ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রীর বিয়েটা বন্ধ করে দিতে।

তিনি আরো বলেন, ইউএনও স্যারের কথামতো অফিসের সহকারী টুম্পা ও রুমাইনা ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীকে সাথে নিয়ে মেয়ে ও ছেলের বাড়িতে যায়। তাদের উভয় পক্ষের অভিভাবককে বাল্যবিয়ের সুফল-কুফল সম্পর্কে অবগত করলে তারা এ বিয়েটা দেবে না বলে সম্মতি জানালে উভয়পক্ষকে ইউএনও স্যারের কাছে নিয়ে আসি।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, তথ্য অফিসের কর্মকর্তা মাসুদা আক্তার বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানানোর পর তাদেরকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করতে বলি এবং দুপক্ষের অভিভাবকদের উপজেলা কার্যালয়ে নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ প্রদান করি।

তিনি আরো বলেন, দু’পক্ষের অভিভাবকরা বাল্যবিয়ে দেবে না বলে অঙ্গিকার করলে তাদেরকে মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বাল্যবিবাহ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন