টেকনাফে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ ইয়াবা পাচারকারি নিহত: ইয়াবাসহ অস্ত্র উদ্ধার


টেকনাফে ৩ লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, দেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো কিরিচ উদ্ধার করেছে। এসময় ইয়াবা পাচার ও বিজিবি’র মধ্যে ৫-১০ মিনিট গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে অজ্ঞাত একজন ইয়াবা কারবারী নিহত হয়েছে।
১২ সেপ্টেম্বর (রবিবার) ভোর রাত সাড়ে ৪টায় হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়াস্থ নাফ নদী সাঁতরিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবা পাচারেের গোপন সংবাদ পেয়ে এ অভিযান পরিচালনা করে। বন্ধুকযুদ্ধে দুই জন বিজিবি সদস্যও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে।
টেকনাফস্থ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সাল হাসান খান জানান, টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ টহল দল এবং দমদমিয়া বিওপির আরও একটি বিশেষ টহল দল নাফনদী সাঁতার কেটে মাদকের চালান পাচারের সংবাদ পেয়ে নেচার পার্ক সংলগ্ন নাফ নদীর ডাবল জোড়া নামক স্থানে কৌশলী অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর ৩ ব্যক্তি নাফনদী সাঁতার কেটে মিয়ানমার হতে শূণ্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করতে দেখে দাঁড়ানোর জন্য সংকেত দিলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং একপর্যায়ে মাদক কারবারীরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে।
এসময় বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়। তখন বিজিবি জওয়ানেরা সরকারি সম্পদ ও জানমাল রক্ষার্থে ৪-৫মিনিট গুলিবর্ষণ করলে মাদক কারবারীদের দুইজন নাফনদীতে ঝাঁপ দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তে চলে গেলেও একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। গোলাগুলি বন্ধ হওয়ার পর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে একজন ২৭ বছরের অজ্ঞাত গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে ৩লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশি অস্ত্র ও ১টি কিরিচসহ আটক করা হয়। এরপর গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারী এবং আহত বিজিবি জওয়ানদের চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অজ্ঞাত মাদক কারবারী মারা যায় এবং বিজিবি জওয়ানদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (বিজিবিএম,পিএসসি) আরও জানান, সরকারি দায়িত্ব পালনে বাঁধা প্রদান এবং অবৈধ মাদক পাচারের দায়ে দোষীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় আইনী কার্য্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।