টেকনাফে ১ লাখ পাঁচ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার
টেকনাফে নাফ নদীতে অভিযান পরিচালনা করে ১ লাখ পাঁচ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। এসময় পাচারকারী জিরো সীমানা অতিক্রম করে মিয়ানমার সীমান্তে চলে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি।
৫ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) সকাল ১০টায় টেকনাফ কোস্ট গার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার সায়েদুল মুরসালিন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মিয়ানমার থেকে নাফ নদী হয়ে সাবরাং বড়খাল এলাকা দিয়ে শুক্রবার গভীর রাতে ইয়াবা চালান আসার গোপন সংবাদ পেয়ে কোস্ট গার্ড জওয়ানরা টহল জোরদার করে। এক পর্যায়ে নাফ নদীর মিয়ানমার সিমানা অতিক্রম করে একজন ব্যক্তি সাঁতার কেটে বাংলাদেশ সীমানায় প্রবেশ করতে দেখা যায়। কোস্টগার্ড সদস্যরা দূরবর্তী ওই ব্যক্তিকে টর্চের আলোতে দেখার চেষ্টা করলে সাথে একটি সাদা বস্তাও দেখতে পায়। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি বস্তাটি ভাসিয়ে দিয়ে ফের মিয়ানমার সিমান্তে চলে যায়। পরে কোস্ট গার্ড সদস্যরা বস্তাটি উদ্ধার করে বস্তার ভিতর প্লাস্টিকে মোড়ানো ১ লাখ পাঁচ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে। জব্দকৃত ইয়াবাগুলো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কোস্ট গার্ডের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, কোস্ট গার্ডের আওতাভুক্ত এলাকা সমূহে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন, জন নিরাপত্তার পাশাপাশি বনদস্যুতা, ডাকাতি দমন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন রোধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তিনি টেকনাফকে ইয়াবা ও মাদকমুক্ত করতে সংবাদকর্মীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এদিকে মালিক বিহীন পরিত্যক্ত ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে নানা প্রশ্নের জম্ম দিয়েছে। এ প্রশ্নের জবাবে কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা জানান, রাতের আঁধারে নাফ নদীতে অভিযান পরিচালনা করা খুবই কঠিন। অনেক সময় কোয়াশা থাকায় সীমানা নির্ণয় মুশকিল হয়ে যায়। এ সুযোগে পাচারকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর স্টিমার কিংবা ট্রলার দেখলেই মিয়ানমারের দিকে চলে যায়। ফলে আটক করা সম্ভব হয়না।