ঢাবি ছাত্রী অপহরণ ঘটনায় সাজেক থানায় মামলা দায়ের
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে বন্ধুদের সাথে বেড়াতে যাওয়ার পথে সিজুগ ছড়া সার্জেন্ট কামাল চত্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী দ্বিপিতা চাকমাকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা-সাজেক সড়কের শিজকছড়া থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। প্রায় ৭ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
সে ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) তার পিতা স্মৃতেন্দু বিকাশ চাকমা(৬৮) বাদী হয়ে কয়েকজনকে আসামি করে ফৌজদারি অপরাধে ১৫৪ ধারায় থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- সাজেক ১/৬। এজাহারে ঘটনাস্থল হিসেবে সাজেক থানাধীন ৩৬নং সাজেক ইউপিস্থ ৩নং ওয়ার্ডের শিজকছড়া তিন রাস্তার জিরো পয়েন্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
থানায় উপস্থিত হয়ে পিতা স্মৃতেন্দু বিকাশ চাকমা(৬৮) ও মাতা শ্রীলা তালুকদার (৬৩) মামলার এজাহার উল্লেখ করেন, আমার মেয়ে দীপিতা চাকমা (২৩) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যয়ণরত এবং রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। গত ৫ সেপ্টেম্বর তারিখ রাত অনুমান ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে ৩৬ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সাজেকে শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্যে বাসযোগে যাত্রা করেন। তারপর ৬ সেপ্টেম্বর সকাল অনুমান ৮.৩০ মিনিটের দিকে খাগড়াছড়ি জেলাধীন দীঘিনালা থানা হইতে সঙ্গীয় সহপাঠীদের নিয়া চাঁদের গাড়িযোগে সাজেক ভ্যালীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। পথিমধ্যে দুপুর অনুমান ১২.১৫ মিনিটের দিকে রাঙামাটি জেলার সাজেক থানাধীন ৩৬নং সাজেক ইউপিস্থ ৩ নং ওয়ার্ডের শিজকছড়া তিন রাস্তার জিরো পয়েন্ট পৌছে যাত্রা বিরতি করলে অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন আসামি আমার মেয়েকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও বল প্রয়োগ করে জোর পূর্বক অপহরণ করে মোটরসাইকেলযোগে সাজেক উদয়পুর সীমান্ত সড়ক দিয়ে ভারতের সীমান্তবর্তী গহীন দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নিয়া যায়।
পরবর্তীতে অনুমান ০১.৩৯ মিনিটের দিকে অপহরণকারীরা আমার মেয়ের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ০১৮…..৪৬৭ হইতে আমার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার- ০১৫….৫৯৭ তে ফোন করে আমার মেয়েকে অপহরণের ব্যাপারে সংবাদ প্রদান করে। অতপর সাজেক থানা পুলিশ আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমি ও আমার স্ত্রীসহ সাজেক উদয়পুর রাস্তায় দাড়ি পাড়ায় এসে অবস্থান করি। ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন অফিসারের দিক নির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ, সাজেক থানা সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় অভিযান পরিচালনাপূর্বক আমার মেয়ে- দীপিতা চাকমা (২৩)কে ভারতের সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি মনু আদম এলাকা থেকে সন্ধ্যা ৭.১০ মিনিটের দিকে উদ্ধার করে দাড়ি পাড়ায় নিয়ে আসেন। আমি ও আমার স্ত্রী আমার মেয়ে দীপিতা চাকমা (২৩) সহ থানায় এসে অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন আসামিদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করি। আমার মেয়ের অপহরণ ও উদ্ধারের সংবাদ নিকট আত্মীয় স্বজনকে অবহিত করে, তাদের সহিত পরামর্শ শেষে মানসিকভাবে স্থির হয়ে এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হল ।
থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান তার পরিবার।