দীঘিনালার অসহায় জুলেখা খাতুন নতুন ঘর পেয়ে আনন্দে আপ্লুত
কুড়ি বছর আগে স্বামী মারা যান। সেখানে স্বামীর দাফন কাজ শেষ করে চকরিয়া থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ডান পা হারান। তারপর থেকেই স্ক্র্যাচ ভর করে এবং প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দিনাতিপাত করছেন জুলেখা খাতুন।
কথা বলছিলাম, নিঃসন্তান জুলেখা খাতুনের কথা। তার বয়স ৮০ ছুই ছুই। নিঃসন্তান ভাঙ্গা ঝুপড়ী ঘরে বসবাস। বৃষ্টি এলেই ঘরে পানি পড়ে। অর্থাভাবে ঘর মেরামত করতে পারছেন না। সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গৃহায়ন কর্মসূচীর মাধ্যমে একটি পাকা ঘর প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ জুন) বিকালে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)
মুহাম্মাদ আবুল হাসনাত খাঁন প্রতিবন্ধী জুলেখা খাতুনকে নতুন ঘরে উঠিয়ে দেন। এ সময় জুলেখা খাতুন চলাফেরা করার জন্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়।
নতুন পাকা ঘর এবং হুইল চেয়ার পেয়ে আনন্দে আপ্লুত হন জুলেখা খাতুন। এসময় তিনি জানান, আমি কখনো ভাবিনি নতুন ঘরে ঈদ করতে পারবো!! আমি প্রতিদিন নামাজ পরে শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি। আল্লাহ্ যেনো তাকে দীর্ঘ হায়াত দান করেন।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম জানান, জুলেখা খাতুন খুবই অসহায় বিধবা এবং প্রতিবন্ধী মহিলা। তার থাকার ঘরটি খুবই জরাজীর্ণ। তাই তাকে গৃহায়ন কর্মসূচীর আওতায় একটি পাকা ঘর প্রদান করা হয়।
নতুন ঘরে ঈদ উদযাপন করার জন্য আজকে ঘর বুঝিয়ে দেয়া হয়। এসময় তিনি চলাফেরা করার জন্য একটি হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়। পাকাঘর এবং হুইল চেয়ার পেয়ে খুবই খুশি জুলেখা খাতুন।