নতুন সাজে সেজেছে পর্যটন কেন্দ্র
ঈদুল ফিতরের টানা ছুটিতে হাজারো পর্যটকরা আসবে বান্দরবানে। আর এ অপেক্ষাতেই নতুন সাজে সেজেছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। পাশাপাশি সেজেছে শহরের হোটেল-মোটেল, রিসোর্টগুলোও। প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্র, হোটেল-মোটেল ও পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়িগুলো যেন অপেক্ষার প্রহর গুনছে পর্যটকদের জন্য।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, মেঘলা, নীলাচলসহ বিভিন্ন পর্যটনস্পটগুলোকে নতুনভাবে সাজিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে পর্যটকদের বরণ করতে। কোথাও কোথাও নতুনভাবে রং করে এনেছে নতুনত্ব। আবার কোথাও কোথাও গড়ে তোলা হয়েছে নতুন স্থাপনা। শহরের হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়িগুলোতেও লেগেছে রঙ্গের ছোঁয়া। এসব কিছু নজর কাড়ছে সকলের।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বান্দরবানে সমাগম ঘটবে হাজারো পর্যটকের। আর তাদের কাছে মেঘলা, নীলাচল, নীলগিরি, চিম্বুকসহ সকল পর্যটন কেন্দ্র, শহরের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো আরও আর্কষণীয় করতে যতটা সম্ভব সাজানো হচ্ছে। শুধু সাজানোই নয়, তাদের সকলের সুবিধার জন্য যতটুকু সম্ভব আনা হয়েছে নতুনত্ব।
এ বিষয়ে বান্দরবান নীলাচলের ম্যানেজার অদিপ বলেন, সামনেই ঈদ। পর্যটকরা একমাস রোজা রেখে বান্দরবান ভ্রমণে আসবেন নিজেকে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে ফেলতে। তাই পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে ইতোমধ্যে নীলাচলকে সাজানো হয়েছে নতুন সাজে। বাড়ানো হয়েছে বাড়তি সুযোগ সুবিধাও।
হোটেল নাইট হেভেনের ম্যানেজার ওমর ফারুক জানান, ঈদে পর্যটকরা আসবে আর এটা মাথায় রেখে ইতোমধ্যে তাদের হোটেলকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হয়েছে। তবে ঈদের পরে পর্যটকরা বেশি পরিমানে আসবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি চালক মো. শফিক বলেন, আমাদের এখানে পর্যটকদের জন্য প্রায় তিন শতাধিক গাড়ি রয়েছে। এসব গাড়িতে করে পর্যটকরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবে।
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, বান্দরবানে ঈদে পর্যটকরা আসবে সে লক্ষ্যে পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে। আশা করছি পর্যটকরা এসব পর্যটন কেন্দ্রে স্বাচ্ছন্দে বেড়াতে পারবে এবং এর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবে। আমরাও প্রশাসনিকভাবে পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সার্বক্ষণিক মনিটরিং এর ব্যবস্থা রেখেছি। আশা করছি এবার পর্যটকরা এখানে নিরাপদে বেড়াতে পারবে।