নাফ নদীতে জেলের বড়শিতে ধরা পড়ল ৩০ কেজির এক জোড়া কোরাল

fec-image

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নাফ নদী থেকে ৩০ কেজি ওজনের এক জোড়া কোরাল মাছ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন নামের এক জেলের বড়শিতে ধরা পড়েছে।

সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটি ঘাটে জালিয়া পাড়া এলাকা থেকে এ মাছ দুটি ধরা পড়ে।

মাছ দুটির মধ্যে বড়টির ওজন ১৮ কেজি ও ছোটটির ১২ কেজি। পরে তিনি মাছ দুটি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মাছ ব্যবসায়ী কবির আহমদের কাছে বিক্রি করে দেন।

মাছ দুটির ক্রেতা কবির বলেন, ‘ইদানীং নাফ নদীতে জেলেদের বড়শিতে কোরাল মাছ ধরা পড়ছে। স্থানীয় জেলে মোহাম্মদ রিয়াজের কাছ থেকে ৩০ কেজি ওজনের কোরাল মাছ দুটি ২০ হাজার টাকায় কিনেছি।

পৌরসভার বাসস্টেশন মাছ বাজারে মাছ দুইটি প্রতি কেজি ১ হাজার ২০০ টাকা দামে বিক্রি করার জন্য দাম দিয়ে ছিলাম। পরে এক মাছ ব্যবসায়ীকে কেজি ১ হাজার টাকা দামে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।”

জেলে রিয়াজ জানান, প্রায় ছয় বছর ধরে নাফ নদীতে নৌকা নিয়ে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট ঘাটের জেটিতে বসে নাফ নদীতে সোমবার বিকালে বড়শি ফেলেন তিনি। প্রায় এক ঘণ্টা পর তিনি বড়শি টেনে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বড়শি বেশ ভারী মনে হওয়ায় আরও একজনের সহযোগিতা নেন।

পরে বড়শি টেনে তুলে দেখেন, একটি কোরাল মাছ আটকা পড়েছে। পরে সেটি মাপ দিয়ে দেখা যায় ওজন ১২ কেজি।

রিয়াজ বলেন, এরপর তিনি আবারও বড়শি ফেলেন। তিনবার বিফল হন। কিন্তু চতুর্থবারে আরও একটি মাছ আটকা পড়ে। সেটির ওজন ছিল প্রায় ১৮ কেজির মতো। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মাছ দুটি দেখতে স্থানীয় লোকজন জেটিতে ভিড় করেন।

টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, নাফ নদীর কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। এরা সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ কেজি ওজনের হয়। কখনও কখনও এর চেয়ে বেশি ওজনেরও পাওয়া যায়।

প্রজনন মৌসুমসহ সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় নাফ নদীতে এখন বড় বড় কোরাল মাছ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন