পরিবার থেকে দূরে থাকতেই অফিসকে প্রাধান্য দেন পুরুষরা
নারীদের তুলনায় পুরুষরা অফিসে গিয়ে অফিস করতে পছন্দ করেন। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে পরিবারের চাপ থেকে মুক্ত থাকার জন্য পুরুষরা এমনটি করেন। সম্প্রতি এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে জরিপের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
নারী ও পুরুষের অফিসের যাওয়ার প্রবণতা ও কারণ নিয়ে জরিপটি পরিচালনা করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা ‘রানওয়ে ইস্ট’।
জরিপে সমসংখ্যক নারী-পুরুষের মধ্যে অফিসে যাওয়ার কারণ হিসেবে ‘পরিবারের কাছ থেকে দূরে থাকা’র অপশনটি বেছে নিয়েছিলেন প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষ। যার মধ্যে নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা ছিল দ্বিগুণ।
অন্যান্য অপশনের মধ্যে অফিস থেকে ব্যক্তিগত কাজের উদ্দেশে স্টেশনারি সংগ্রহ করার মতো বিষয়টিকেও বেছে নিয়েছেন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পুরুষ। এ ছাড়া অফিসে আড্ডাবাজির মতো বিষয়গুলোও নারীর তুলনায় পুরুষকে বেশি আকৃষ্ট করে। অফিসে গেলে নতুন মানুষদের সঙ্গে পরিচয় এবং পরিচিতদের সঙ্গে দেখা হওয়ার অপশনটিকে নারীর তুলনায় পুরুষেরা দ্বিগুণ হারে বেছে নিয়েছেন।
জরিপে অংশ নেওয়া প্রতি ১০ জনের মধ্যে অন্তত একজন অফিসে যাওয়ার কারণ হিসেবে ভালো কফি পান করতে পারার অপশনটিকে বেছে নিয়েছেন।
রানওয়ে ইস্টের প্রধান নির্বাহী নাতাশা গুয়েরা বলেন, ‘যেসব মানুষ অফিসে যেতে চায় না—আসলে তারা যাতায়াতের বিষয়টি পছন্দ করেন না এবং কাজের জন্য একটি ডেস্কের চেয়েও বেশি কিছু চান তারা।’
রানওয়ে ইস্টের জরিপটি অন্যান্য কয়েকটি গবেষণা প্রতিবেদনেরও সঙ্গে মিলেছে। এর মধ্যে গত জুনে প্রকাশিত মার্কিন ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিসটিকসের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, করোনা মহামারির পর পুরুষেরা নারীদের তুলনায় অনেক বেশি হারে অফিসে ফিরেছেন। নারীরা গৃহস্থালির কাজগুলোতে সময় দেওয়ার বিষয়টিকে বেশি হারে বেছে নিয়েছেন।
এ ছাড়া যুক্তরাজ্যভিত্তিক ‘অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস’-এর (ওএনএস) এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাড়িতে থেকে বা হোম অফিস করার বিষয়টি পছন্দ করা কর্মীদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় নারী সংখ্যা অনেক বেশি। তারা মনে করেন, হোম অফিস করলে কাজ শেষ করার জন্য বাড়তি সময় পাওয়া যায় এবং ভুল-ভ্রান্তিও কম হয়।