পর্যটকের পদভারে মুখরিত আলুটিলা, আসছে নতুন নীতিমালা


টানা তিন দিন ছুটির প্রথম দিনে পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলা ভূমি পার্বত্য জনপদ পর্যটনের সম্ভাবনাময় খাগড়াছড়ির আলুটিলা।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বিশেষ করে বিকেলে আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে জেলার বাইরের পর্যটকের চেয়ে স্থানীয় পর্যটকদের বেশি দেখা যায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী রবিবার (৯ অক্টোবর) ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় বাড়তে পারে জেলার বাইরের পর্যটকের সংখ্যা।
খাগড়াছড়ির পার্বত্য জেলা পরিষদ পার্ক ও রিছাং ঝর্নাসহ সবকটি পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকের আগমনে পরিপূর্ণ। তবে সবকিছু এড়িয়ে নান্দনিকতার ছোঁয়ায় পর্যটকদের বাকর্ষণ করছে নতুন আঙ্গীকে সৃজিত আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে আসা কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের কামরুজ্জামান সুমন বলেন, অনেক দিন ধরে খাগড়াছড়ি আসার চিন্তা করেছি। সময়ের সল্পতার কারণে আসা হয়না। তাছাড়া দীর্ঘদিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। তাই এবার তিন দিন ছুটি পেয়ে সাজেক যাওয়ার পথে আলুটিলার রহস্যময় গুহার সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছি।
আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রের টিকেট বিক্রেতা কোকো নাথ ত্রিপুরা বলেন, আজকে অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের চেয়ে অনেক বেশি পর্যটক এসেছে আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র। জেলা পরিষদ পার্কের চেয়ে সন্ধা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত দ্বিগুন টিকেট বেশি বিক্রি হয়েছে। তবে গেটের বাহিরে যে যানজট সেভাবে টিকেট বিক্রি হয়নি। মূলত সরু রাস্তার কারণে সাজেক হতে আসা গাড়িতে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
এ দিকে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ১৫ তারিখ হতে রাত ৮টার স্থলে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি এবং রাত ৯টার স্থলে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত পর্যটন কেন্দ্র খোলা থাকবে।
পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের জন্য সর্বাত্বক বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়োজিত থাকবেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।